শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বেগমগঞ্জে যুবতীকে ধর্ষণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে চাকরি ও বিয়ে দেওয়ার প্রলোভনে এক যুবতীকে (২৫) ধর্ষণ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা। গতকাল দুপুরের দিকে ভুক্তভোগী যুবতী এ ঘটনায় বাবা-ছেলে দুজনকে আসামি করে মামলা দিয়েছেন।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলামকে (৬৫) আটক করে পুলিশ। দুপুরের দিকে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমানতপুর গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে এবং অবসরপ্রাপ্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট। তবে মামলার অন্য আসামি সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৩৫) পলাতক। জানা গেছে, ওই যুবতী উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আট-নয় মাস ধরে নোয়াখালী ও ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে আসছেন সিরাজুল ইসলাম। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সিরাজুল ইসলাম তাকে বিয়ে করেননি, চাকরিও দেননি। যুবতী বিয়ের জন্য চাপ দিলে সিরাজুল ইসলাম টালবাহানা করেন। এক পর্যায়ে তার ছেলে মাহবুবুর রহমান যুবতীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

সুবর্ণচরে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ : এদিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে এক শিশু ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চরহাছান গ্রামের আবদুল হক কাজী (৫৮) পলাতক রয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবদুল হক কাজী চরহাছান গ্রামের দায়মুদ্দিন কাজীর ছেলে। শিশুটির পরিবার ও অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে শিশু শ্রেণির ওই ছাত্রী পাশের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী আবদুল হক কাজী তাকে বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে তার ঘরে নিয়ে যান এবং দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। চরজব্বার থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক। তবে তাকে দ্রুত গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর