সিলেটে আলোচিত রাহয়ান আহমদ হত্যা মামলায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির আরেক পুলিশ কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার রাতে পুলিশ লাইন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে টিটু চন্দ্র দাস নামের আরেক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে রায়হান হত্যাকাে র ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করল পিবিআই। তবে প্রধান অভিযুক্ত ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া এখনো পলাতক রয়েছেন। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মো. খালেদুজ্জামান জানান, শুক্রবার রাতে পুলিশ লাইনে হেফাজতে থাকা সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক শারমিন আক্তার নীলার আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহতাবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নগরীর নেহারীপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হান মারা যান। প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় নগরীর কাস্টঘরে ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে রায়হান মারা গেছেন। কিন্তু পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকার জন্য ফাঁড়িতে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ তোলা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। নিহত রায়হানের স্ত্রী তান্নি বাদী হয়ে হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপরই বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও কনস্টেবল তৌহিদ মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। ১২ অক্টোবর দুপুর থেকে লাপাত্তা হয়ে যায় এসআই আকবর হোসেন। গত ১২ দিনেও তার কোনো খোঁজ পায়নি পুলিশ ও পিবিআই। গত ২০ অক্টোবর কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে পুলিশ লাইন থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় তাকে।
