সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত ইসলামী দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪০টি। এর মধ্যে ইসলামী বা ইসলামপন্থি দল ১০টি। নিবন্ধনের বাইরে ইসলামী দল বা সংগঠনগুলো কত আছে এর কোনো পরিসংখ্যান নেই। ইসলামী দল ও সংগঠনগুলো নির্বাচনের সময় এলে জোটভিত্তিক কার্যক্রম জোরদার করে। বতর্মানে জোট নয়, স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ব্যস্ত সময় পার করছে দলগুলো। এর বাইরে করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, নারী নির্যাতন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ নানা বিষয়ে প্রতিনিয়ত নিজেদের দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ইসলামী দলগুলো হচ্ছে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, জাকের পার্টি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। এদিকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে রয়েছে খেলাফত মজলিস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটে রয়েছে তরিকত ফেডারেশন। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৪-দলীয় জোটে না থাকলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে তাদের সুসম্পর্ক। ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস একসময় বিএনপির জোটে ছিল। বর্তমানে তারা স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও জাকের পার্টিও স্বতন্ত্রভাবে দল পরিচালনা করছে। বর্তমানে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে সাংগঠনিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠন শক্তিশালীকরণে জোর দিচ্ছেন দলের আমির চরমোনাই পীর। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি তারা। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২৯৯ আসনে প্রার্থী দেয় দলটি। অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচনের দিন ভোট বর্জন করে তারা। বর্তমানে ইসলামী আন্দোলন প্রতিটি ইস্যুতে সরব রয়েছে। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য আইনি এবং রাজপথে লড়াই করে যাচ্ছে নজিবুল বশর মাইজভা ারীর নেতৃত্বাধীন তরিকত ফেডারেশন। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে তরিকতের দায়ের করা মামলায়। নজিবুল বশর মাইজভা ারী বলেন, ‘করোনাকালে প্রায় প্রতিটি জেলায় জনগণের পাশে ছিলাম, আছি। আমার নির্বাচনী আসন চট্টগ্রাম-২-এ প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মানুষকে দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।’ এদিকে খেলাফত মজলিস সরকারের নানা ব্যর্থতার দায়ে মাঠে রয়েছে। ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাসনাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ। তাদের দাবি, করোনা মহামারীর সময় তারা ব্যাপক কাজ করছেন। চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ও মহাসচিব এম এ মতিনের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। একাদশ নির্বাচনের আগে এরশাদের নেতৃত্বাধীন অংশে ‘সম্মিলিত জাতীয় জোটে’ অংশ নেয় দলটি। পরবর্তী সময় জোট ত্যাগ করে এখন স্বতন্ত্র অবস্থানে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিটি ইস্যুতে মাঠে রয়েছে দলটি। করোনাকালীন মানুষের পাশে ছিল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। প্রতিটি ইস্যুতে মাঠে আছে। এদিকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, মহামারী করোনাকালে এবং বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষকে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তারা। অক্সিজেন সরবরাহ করেছেন। ফ্রি অ্যা¤ু^লেন্স সার্ভিস দিয়েছেন সারা দেশে। অন্যদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামও ব্যস্ত তাদের দল গোছাতে।

সর্বশেষ খবর