সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
ফিরলেই গ্রেফতার : অ্যাটর্নি জেনারেল

দেশে ফেরেননি পি কে হালদার, ব্যবস্থা নেবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাই কোর্টের আদেশের পরও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) অর্থপাচারের ঘটনায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার দেশে ফেরেননি। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গতকাল দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, পি কে হালদার দেশে ফিরলেই গ্রেফতার হবেন। তিনি বলেন, পি কে হালদারের দেশে ফেরার মতো পরিবর্তনের জবাবের অপেক্ষায় রাষ্ট্রপক্ষ। পি কে হালদার জেলে গেলেও সেখান থেকে পাওনাদারদের দেনা পরিশোধ করতে পারবেন। অভিযুক্ত মিথ্যা তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে আদালতই ব্যবস্থা নেবে। গতকাল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, পি কে হালদার হাই কোর্টকে জানিয়েছিলেন, তিনি ২৫ অক্টোবর দুবাই থেকে অ্যামিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা আসার জন্য টিকিট কেটেছেন। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টার ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দেশে ফেরেননি।

দুদকের এ আইনজীবী আরও জানান, হাই কোর্টের আদেশের পরও দেশে না ফেরার ঘটনা আদালত অবমাননার শামিল। তাই বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনা হবে। আমরা দুদক টিমও প্রস্তুত রয়েছি। তবে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করতে আইজির কাছে অনুরোধ জানাব।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের একই বেঞ্চে এ সংক্রান্ত আরেকটি আবেদন করেছিল আইএলএফএসএল। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত জানিয়েছিল, পি কে হালদার কবে, কখন, কীভাবে দেশে ফিরতে চান, তা আইএলএফএসএল লিখিতভাবে জানালে সে বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত। এরপর পি কে হালদারের দেশে ফেরার বিষয়টি গত ২০ অক্টোবর হাই কোর্টকে জানানো হয়। আবেদনে বলা হয়, ২৫ অক্টোবর দুবাই থেকে অ্যামিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা আসার জন্য টিকিট কেটেছেন তিনি।

পরে সার্বিক দিক বিবেচনার দেশে ফেরার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। একই সঙ্গে দেশে ফেরার পর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতারে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সময় গোপনে বিদেশে চলে যান তিনি।

সর্বশেষ খবর