বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাংবাদিকরা এখন লিখতে ভয় পান। ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য সরকার আজ সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষের ওপর দমননীতি শুরু করেছে। যারা ভিন্ন মত পোষণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করেন, কোনো কথা বলেন, তাদের নামে হয় রাষ্ট্রদ্রোহ, না হয় ডিজিটাল অ্যাক্টে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও তার মুক্তি দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। পেশাজীবী পরিষদের নেতা সাংবাদিক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে ছড়াকার আবু সালেহ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অধ্যাপক আবদুল করীম, প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, প্রকৌশলী ফখরুল আলম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, জাসাসের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে দেশে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। এ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। শুধু জনগণকে বোকা বানানোর জন্য তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে। তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করছে। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক হয়েছে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, অবিলম্বে জনগণের চোখের ভাষা বুঝে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জনগণের যে উত্তাল ঢেউ সৃষ্টি হবে, সেই ঢেউয়ে আপনারা সবাই ভেসে যাবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী সাহেবকে একটা মিথ্যা অপবাদ, একটা অপব্যাখ্যা এবং সেই সঙ্গে আইনের একটা অপব্যাখ্যা দিয়ে গ্রেফতার করে বিনা জামিনে কারাগারে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে রুহুল আমিন গাজী এবং দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদের মুক্তিসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান মির্জা ফখরুল।