বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভারতের সঙ্গে পাঁচ চুক্তি স্বাক্ষর করে চীনকে হুমকি আমেরিকার

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র গতকাল প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের টু প্লাস টু বৈঠক হয়। এতে মূলত চীনের প্রসঙ্গই বেশি আলোচিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকের পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, লাদাখ উপত্যকায় চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে আমেরিকা ভারতের পাশে থাকবে। তিনি এও বলেন, চীনের উহান প্রদেশ থেকেই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি। তিনি বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আদৌ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। তারা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবাধ বাণিজ্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকাশ্যে চীন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য না করলেও বৈঠকের অভ্যন্তরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রথমেই মন্তব্য করেন- ‘‘এই মুহূর্তে উত্তর সীমান্তে ভারত আগ্রাসনের সম্মুখীন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর নীতিগতভাবে আমেরিকার ইন্দো-প্রশান্ত সাগরীয় জোটে ভারতের শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে আইন শাসনের পথে বিশ্বাসী।” সরকারি সূত্র জানিয়েছে, উভয় দেশ সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে সহমত হয়েছে। তার মধ্যে বেকা চুক্তি সামরিক গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান রয়েছে, এই সঙ্গে সামরিক অস্ত্রভান্ডার গড়তে পেন্টাগন সাউথ ব্লকের পাশে দাঁড়াবে। ঘোষণা না করলেও দুই দেশ সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতার চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার হায়দরাবাদ হাউস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভারতকে অ্যাপাচে হেলিকপ্টার ও ড্রোন দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে আধুনিক রাইফেল দেবে আমেরিকা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সোমবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য ভারতে আসেন। এটা তৃতীয় পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকের পরে তারা দুজনেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

প্রশ্ন করা হয়েছিল এই সময়ে বৈঠক কেন? জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, ‘‘আগের বৈঠকগুলো এই সময়েই হয়েছিল। তা ছাড়া অন্য কারও জন্য এই বৈঠক নয়।” ভারতের পক্ষ থেকে সামগ্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তারিত বিষয় জানানো হয়েছে। চীনের প্রসঙ্গ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টিকে লঘু করে দেখানো হয়েছে। দিল্লি থেকে দুই মন্ত্রী শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া যাবেন। লক্ষণীয় দেশ তিনটির প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গেই চীনের সম্পর্ক বাড়ছে। অন্য চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে পৃথ্বী বিজ্ঞান সহযোগিতা, পরমাণু এনার্জি সহযোগিতার পুরনো চুক্তি নবায়ন, ক্যান্সারসহ আয়ুর্বেদ চিকিৎসার বিষয়ে সহযোগিতা ও শুল্ক সংক্রান্ত তথ্য ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিনিময়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর