শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
স্বাক্ষাৎকারে আনিছুর রহমান

জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রাইভেট সেক্টর

নিজামুল হক বিপুল

জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রাইভেট সেক্টর

মো. আনিছুর রহমান

দেশের জ্বালানি সেক্টরের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান। গতকাল মন্ত্রণালয়ে নিজের দফতরে বসে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন জ্বালানি খাতে সরকারের নানা সাফল্যের কথা। শুনিয়েছেন সম্ভাবনার কথা। নতুন নতুন গ্যাস কূপ আবিষ্কারের কথা। বলেছেন প্রাইভেট সেক্টরে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ জ্বালানি। এলএনজির ব্যবহার নিয়েও কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, ১০ বছরে এলএনজির ব্যবহার ৭০ হাজার মেট্রিক টন থেকে কীভাবে ১০ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছে গেছে। তার এ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার নিজামুল হক বিপুল-প্রশ্ন : কভিডকালে আপনার সেক্টরের সফলতা ও বিফলতা যদি বলতেন...

আনিছুর রহমান : এখন আমরা কভিড-পূর্বাবস্থায় ফিরে গেছি। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের দিক থেকেও আমাদের অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। সব দিক থেকেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কভিড-১৯-এর জন্য ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি হওয়ার পর গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা ২ হাজার ঘনফুটে নেমে এসেছিলাম। কভিডের আগে আমাদের গ্যাস ব্যবহার ছিল ৩ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ ঘনফুট। মে মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত আমাদের গ্যাস খুবই কম ব্যবহার হচ্ছিল। সাধারণ ছুটির পর আমাদের গ্যাস শুধু বাসাবাড়িতে নয়, পাওয়ার সেক্টরেও কমতে শুরু করল। কিন্তু মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কিছু কিছু শিল্পকারখানা খুলতে শুরু করলে আমাদের গ্যাস ব্যবহার অবস্থার উন্নতি হতে থাকল। এখন আমরা আগের অবস্থায় ফিরে গেছি। এখন প্রতিদিন ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে।

ওই সময়ে গ্যাসের চাহিদা কমলেও আমাদের যেহেতু কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি আছে সে কারণে ওদের কাছ থেকে মিনিমাম একটা আনতে হবে। মিনিমাম ১ হাজার ঘনফুট, সেটা আমরা আনা অব্যাহত রেখেছিলাম। আমরা নিয়মিত আনতাম ৫০০ থেকে ৫১০ মিলিয়ন ঘনফুট। তখন আমরা নিজস্ব গ্যাসের উৎপাদন কমিয়ে ওমান ও কাতার থেকে ১ হাজার ঘনফুট করে আনতে শুরু করলাম। এতে আমাদের রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে গেল। আবার আগস্ট থেকে আমরা এলএনজি ৬০০ থেকে ৬৩০ মিলিয়ন ঘনফুট নিতে পারছি। এলএনজির চাহিদাও বেড়েছে।

গ্যাসের পাশাপাশি জ্বালানি তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ধাক্কা লাগল। কারণ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ হয়ে গেল। জ¦ালানি তেল ড্রপ করল। ওই সময় শুধু পুলিশে, চিকিৎসকদের বহনকারী গাড়ি ও জরুরি পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পরিবহন চলত। এর বাইরে আর কোনো গাড়ি চলত না। পরিবহন সেক্টর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। সে কারণে বিশ্ববাজারেও তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে যাওয়ার পরও আমরা সে সুবিধা নিতে পারিনি। কারণ আমাদের স্টোরেজ সুবিধা নেই। তা ছাড়া যে জ্বালানি তেল মজুদ আছে তা যদি আমরা ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে হয়তো এ সুবিধাটা নিতে পারতাম।

এপ্রিলের শেষ দিকে তেলের দাম বিশ্ববাজারে ব্যারেলপ্রতি মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলারে নেমে এসেছিল। কিন্তু এ সুবিধা আমরা নিতে পারিনি। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহয় ধীরে ধীরে আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করল। এখন আমাদের জ্বালানি তেল ও গ্যাস দুটোই পূর্বাস্থায় ফিরে এসেছে।

দুটোতেই আমরা কভিড-পূর্বাবস্থায় ফিরে গেছি। আজকে (বুধবার) আমাদের গ্যাসের উৎপাদন হচ্ছে ৩ হাজার ১২৬ মিলিয়ন ঘনফুট। আর সরবরাহ হচ্ছে ৩ হাজার ১৬৭ মিলিয়ন ঘনফুট। এ রকম অবস্থা ছিল কভিড-পূর্ব সেপ্টেম্বরে। এখন আমরা আগের অবস্থাতেই ফিরে এসেছি। তবে শীতকালে গ্যাসের ব্যবহার কিছুটা কমে যায়। তখন গৃহস্থালিসহ অন্য বেশ কিছু খাতে গ্যাসের ব্যবহার কমে যায়।

প্রশ্ন : আপনি বলছিলেন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ার পরও আপনারা স্টোরেজ সংকটের কারণে তেল কিনতে পারেননি। এ সংকট কাটানোর উপায়টা কী, কোনো উদ্যোগ...

আনিছুর রহমান : আমরা মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। পার্বতীপুর, চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারি টু (ইআরএফ-২), মাতারবাড়ীতে স্টোরেজ তৈরি করছি। একই সঙ্গে সিঙ্গেল মুরিং অর্থাৎ জাহাজ থেকে সরাসরি তেল নিয়ে এসে চট্টগ্রাম ইস্টার্ন রিফাইনারির মূল স্থাপনায় নিয়ে আসা হবে। ইস্টার্ন রিফাইনারির বয়স ৫০ বছরের ওপরে। ফ্রান্সের কারিগরি সহায়তায় এটা করা হয়েছিল। আমরা ফ্রান্সের কারিগরি সহায়তায়ই দ্বিতীয়টি করতে যাচ্ছি। এটি ২০২৪ সাল নাগাদ চালু হবে ইনশা আল্লাহ।

বর্তমানে আমাদের যে ক্যাপাসিটি তাতে খুব বেশি হলে ২৮ থেকে ২৯ দিনের মজুদ রাখতে পারি। এটা কিন্তু আমাদের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ। কমপক্ষে ৪৫ দিন করা দরকার। ভারতের মতো দেশে ৬০ দিনের মজুদ আছে। আমাদের এ ৪৫ দিন মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে কমপক্ষে আরও বছর দুই লাগবে।

প্রশ্ন : আমাদের গ্যাসের মজুদের পরিমাণ আছে?

আনিছুর রহমান : এখন আমাদের গ্যাসের যে অবস্থা... আমরা বেশ কিছু অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যেমন সিলেটের হরিপুরে আমরা একটা কূপ খনন করছি। এটি হরিপুর-৯। নভেম্বরে এ খননকাজ শেষ হবে। ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা আছে এখানে গ্যাস ও তেল পাওয়ার। তখন জানা যাবে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস ও তেল আছে। এটি খনন করছে বাপেক্স। কিছুদিন আগে আমরা শ্রীকাইল ইস্ট-১-এ কভিডের আগেই ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কভিডের কারণে আমরা তা বন্ধ রেখেছিলাম। ওখানে যে পরিমাণ গ্যাসের রিজার্ভ আছে তাতে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করলেও ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে করা যাবে। এতে রিজার্ভ আছে ৭১ বিসিএফ ঘনফুট। ওঠানো যাবে ৫০ বিসিএফ। আরেকটা আছে শরীয়তপুরের চামটা ইউনিয়নে। এখানে আমরা আগামী জানুয়ারিতে খনন শুরু করব। সিসমিক সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী এখানেও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। ভোলায় যে কোয়ালিটি ও লেভেলের গ্যাস পাওয়া গেছে এখানে সেই একই কোয়ালিটি ও লেভেলের গ্যাস। বাপেক্স বলছে এখানে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আরেকটা জায়গা জামালপুরের মাদারগঞ্জে... এটাও বাপেক্স করবে।

বাপেক্সকে আমরা পুরোপুরি সক্ষম করে তুলছি। তাদের আমরা আন্তর্জাতিকমানের করে গড়ে তুলছি। আমরা একটা নতুন অর্গানোগ্রাম করে দিচ্ছি যাতে আন্তর্জাতিক মানের একটা কোম্পানিতে পরিণত হতে এবং কাজ করতে পারে। বাপেক্সের এখন সব ধরনের সক্ষমতা আছে। ২০০৯ সালে একটা মাত্র রিগ ছিল। তাও সেটা বহু বছরের পুরনো। এখন তাদের রিগের সংখ্যা ছয়টি যার পাঁচটি নতুন। গত ১০ বছরে এ রিগ সংগ্রহ করা হয়েছে। যেগুলোর দাম ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা।

প্রশ্ন : এলএনজির কী অবস্থা? স্পট মার্কেট থেকে কেনার কারণে সরকার কেমন লাভবান হয়েছে?

আনিছুর রহমান : লং টার্মে যেটা আছে এর পাশাপাশি আমরা স্পট মার্কেট থেকে কিনছি। এ পর্যন্ত একটাই এনেছি আমরা। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এ তিন মাসে চারটি কার্গো আসার কথা। লং টার্মে তো আমাদের একটা চুক্তি আছেই। সে অনুযায়ী আমাদের মিনিমাম একটি আনতে হবে। পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে কেনা যায় এ রকম ধারণা আমাদের আছে। সে অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশি মুদ্রায় কাতারের দাম থেকে ৩৯ কোটি এবং ওমানের থেকে ২৯ কোটি টাকা কমে একটি কার্গো আনতে পেরেছি। সেটা এনেছি সিঙ্গাপুর থেকে। এর পরের যে কার্গোটা আসার কথা ছিল এ মাসে তার জন্য আমরা কোটেশন চেয়েছিলাম। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় তা বাতিল করে দিয়েছি। আরেকটা কোটেশনেও দাম বেশি হওয়ায় তা বাতিল করেছি। ডিসেম্বরে আরও দুই কার্গোর কোটেশন চেয়েছি। যদি দাম বেশি হয় তাহলে আনব না। সে ক্ষেত্রে কিছুটা সংকট তৈরি হতে পারে। শীতকালে ইউরোপসহ ওইসব দেশে গ্যাসের চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণে দাম একটু বেশি। আশা করছি ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে আমরা স্পট মার্কেট থেকে কম দামে আরও তিনটি আনতে পারব।

প্রশ্ন : কয়লা উৎপাদনের কী অবস্থা? কভিডের কারণে বন্ধ...

আনিছুর রহমান : কয়লা উৎপাদন হচ্ছে। কভিডের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কথাটা ঠিক নয়। এখন যেখান থেকে উৎপাদন হচ্ছে এ জায়গাটার থেকে আগের জায়গার কয়লা শেষ হয়ে গিয়েছিল। ওই ফেস থেকে পরের ফেস যাওয়ার কারণে উৎপাদন কিছুটা বন্ধ ছিল। একটা ফেস থেকে আরেকটা ফেসে যেতে কমপক্ষে তিন থেকে চার মাস লাগে। কারণ সুড়ঙ্গ তৈরি করতে হয়, মেশিনারিজ নিয়ে যেতে হয়। এজন্য চাইনিজরা পাঁচ মাস সময় চেয়েছিল। তারা সেপ্টম্বরে উৎপাদন করবে বলছিল। আমরা অতটা সময় দিইনি। বলেছি আগস্টে চালু করতে হবে। তারা আগস্টের ৯-১০ তারিখে উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে প্রতিদিন ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টনের কাছাকাছি উৎপাদন করছে। শ্রমিক বাড়ালে এ উৎপাদন আরও বাড়বে।

প্রশ্ন : পাথর উৎপাদনের কী অবস্থা?

আনিছুর রহমান : কভিডের কারণে বন্ধ ছিল। ১৩ আগস্ট আবার শুরু হয়েছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন পাথর উৎপাদন হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, সড়ক বিভাগ নিচ্ছে। পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পের জন্য পাথর নেওয়া হবে।

প্রশ্ন : দিনাজপুরে লোহার খনি পাওয়া গিয়েছিল, তার সর্বশেষ অবস্থা যদি বলতেন...

আনিছুর রহমান : খনিতে যে লোহা পাওয়া গেছে তা খুবই উন্নতমানের। তবে কী পরিমাণ লোহা মজুদ আছে, কী পরিমাণ উত্তোলন করা যাবে তা আমরা এখনো ঠিক করতে পারিনি। এটা করার জন্য একটা প্রকল্প আমরা নিয়েছিলাম। কিন্তু কভিডের কারণে তা পিছিয়ে গেছে। আমরা জিএসবির কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এটি উত্তোলনের জন্য বাপেক্সকে দেব। এটি এক্সপ্লোরেশন করবে পেট্রোবাংলা। এরপর আমরা এর রিজার্ভ আর কী পরিমাণ উত্তোলন করা যাবে তা জানার জন্য একটা বিদেশি কোম্পানিকে দেব। এ কাজ করতে কমপক্ষে দু-তিন বছর লাগবে।

প্রশ্ন : ভোলায় বেশি দামে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে...

আনিছুর রহমান : এটা বেশি নয়। বাপেক্স তো বাখরাবাদ কূপ খনন করেছে ২১ মিলিয়ন ডলার দিয়ে। যদি বাখরাবাদে ২১ মিলিয়ন ডলার দিয়ে একটা কূপ খনন করা হয় তাহলে শাহবাজপুর, ইলশা বা টবকিতে যেটা সমুদ্রের মধ্যে কূপ খনন করা হয়, সেখানে তো সমতলের মতো সুবিধা নেই। সেখানে যদি আমরা ১৭ বা ১৮ মিলিয়নে একেকটা কূপ খনন করি তাহলে তো খুব বেশি নয়। ৬৩ মিলিয়নে তিনটি কূপ খনন করা হবে। সে হিসেবে ২১ মিলিয়নই হয়। কিন্তু এখানে মবিলাইজেশনেই আছে ৬ মিলিয়ন ডলার। এমনিতে প্রতিটি কূপে ১৭ থেকে ১৮ মিলিয়ন ডলার পড়ে।

প্রশ্ন : জ্বালানি খাতে প্রাইভেট সেক্টরের অবস্থাটা বলবেন?

আনিছুর রহমান : জ্বালানি খাতে প্রাইভেট সেক্টর খুবই ভালো অবস্থায় আছে। প্রাইভেট সেক্টর বিভিন্ন কাজ করছে। এর অন্যতম হচ্ছে এলপিজি। এ খাতে আগে যেখানে চাহিদা ছিল ৭০ হাজার মেট্রিক টন সেখানে গত ১০ বছরে চাহিদা বেড়েছে। ৫৬টি কোম্পানি লাইসেন্স নিয়েছে। বর্তমানে বাজারে অপারেশন করছে ২৪টি কোম্পানি। এ ছাড়া অনেক কোম্পানি পেট্রো কেমিক্যালে গেছে। ধরুন এই বসুন্ধরা। তারা বিটুমিন উৎপাদনে গেছে। আমাদের দেশে সিংহভাগ বিটুমিন আসে বিদেশ থেকে। কিন্তু সেগুলো খুবই নিম্নমানের। এগুলোর স্থায়িত্ব কম। সড়কগুলো টেকসই হয় না। বেশিদিন টেকে না। আমাদের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে যা-ই উৎপাদন হয় সেটা কোয়ালিটি-সম্পন্ন বিটুমিন। কিন্তু সেটা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। ফলে বিদেশ থেকেই আমদানি হয়। বসুন্ধরা কেরানীগঞ্জে বিটুমিন উৎপাদন শুরু করেছে। এখানে ৫ লাখ মেট্রিক টন বিটুমিন উৎপাদন হবে বছরে। এখান থেকে আরও অনেক কিছুই উৎপাদন হবে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তারাও করছে। কিছু কোম্পানি পেট্রল ও অকটেন উৎপাদন করছে। আমরা কিন্তু পেট্রল ও অকটেন আমদানি করি না। আমাদের এখান থেকেই সব উৎপাদন হয়।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আমাকে সময় দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আনিছুর রহমান : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

সর্বশেষ খবর