ছোট নৌকায় চড়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে গিয়ে ইংলিশ চ্যানেলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে চার শরণার্থীর। এর মধ্যে দুজন শিশু। নিহতদের সবাই একই পরিবারের। এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ বলে মনে করছে ফ্রান্সের উদ্ধারকারী দল। বুধবার জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। নিহতরা ইরানের কুর্দি পরিবারের সদস্য। তাদের ১৫ মাস বয়সী শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের নাম ও বয়স প্রকাশ করেছে বিবিসি। এরা হচ্ছেন রাসুল ইরান নাগাদ (৩৫), শিভা মোহাম্মদ পানাহি, ইরান নেজাম, আনিতা (৯) ও আরামিন (৬)।

এদিকে ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে ইদানীং বহু শরণার্থী যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগেও বেশ কিছু শরণার্থী ছোট নৌকা ভাড়া করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বহু শরণার্থী। এর আগেও নৌকাডুবিতে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় পানি থেকেই। বাকিদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়। মারা যান এক নারী। ১৫ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি। এর মধ্যে বেশ কিছু শিশুও আছে। উদ্ধারকারীদের ধারণা, এখনো সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজদের মধ্যে একটি শিশু আছে। কীভাবে ঘটনা ঘটল, কেন ওই শরণার্থীরা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল, এ পর্যন্ত কোনো তথ্য জানায়নি ফরাসি প্রশাসন। ঘটনাস্থলে ফ্রান্সের চারটি জাহাজ এবং বেলজিয়ামের একটি হেলিকপ্টার উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নৌকাডুবির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। ঘটনা তদন্তে ফ্রান্সকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে টুইট করেছেন তিনি। তবে ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। অতীতে সাঁতার কেটে ৩০ কিলোমিটার ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন অনেক শরণার্থী। সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স জানিয়েছিল ১৩০০ শরণার্থীকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সময় আটক করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। চলতি বছর এ পর্যন্ত এ চ্যানেলে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।