কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গতকাল বিকালে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের কাছে একটি মসজিদে ঢুকে কোরআন শরিফে পা দিয়ে অবমাননা করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে ওই দুই জনকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ অন্যরা দুই যুবককে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। ডিসি বলেন, উত্তেজিত জনতা একজনকে ইউনিয়ন পরিষদের ভিতর থেকে জোর করে বের করে রাস্তায় নিয়ে আসে এবং তাকে হত্যা করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। ডিসি জানান, অন্য যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, পুরো ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। তিনি জানান, রাত ৯টার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ডিসি জানান, পুড়িয়ে হত্যার শিকার ব্যক্তির নাম আবু ইউসুফ শহীদুন নবী জুয়েল। বয়স ৫০ বছর। সে রংপুরের শালবন এলাকার মৃত ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। জুয়েল রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান। জুয়েল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানান ডিসি। আর পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তির নাম সুলতান জুবায়ের আব্বাস। তার বয়স ৪৮ বছর। তার বাড়িও রংপুরের মুন্সীপাড়ায়। তার পিতার নাম মৃত শেখ আব্বাস। জুবায়ের পেশায় ডিড রাইটার। তিনি রংপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কাজ করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।