সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আমেরিকায়

বাংলাদেশিরাও সরব বাইডেনের পক্ষে, আক্রমণাত্মক ট্রাম্প সমর্থকরা

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আমেরিকায়

শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে কিনা এমন প্রশ্নে ঘুরপাক খাচ্ছে আমেরিকানরা। সিদ্ধান্তহীন স্টেট তথা ব্যাটেল গ্রাউন্ডের সর্বশেষ জনমত জরিপে ট্রাম্পের কিছুটা অগ্রগতি ঘটলেও প্রায় সবকটিতে বাইডেন এগিয়ে থাকায় সহিংসতার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। টেক্সাসের সেন্ট অ্যান্তোনিও থেকে ইন্টারস্টেট-৩৫ সড়ক দিয়ে বাইডেনের বাস অস্টিনে যাওয়ার পথে ট্রাম্পের সমর্থকরা হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল শুক্রবার। বাইডেনের সমর্থকরা ৯১১ এ ফোন করে ট্রাম্পের উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকদের কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করলেও বাইডেনের সমাবেশ বাতিল করা হয়। ট্রাম্প সমর্থকদের মহাসড়কে এমন দুর্বৃত্তপনার দৃশ্য প্রধান প্রধান টিভিতেও প্রচারিত হয়েছে। একই ধরনের আক্রমণাত্মক ঘটনা বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ট্রাম্প সমর্থকদের পক্ষ থেকে। টেক্সাস স্টেট ছিল রিপাবলিকানদের কব্জায়। ‘এবারের নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি জরিপেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন এগিয়ে থাকায় ট্রাম্প-সমর্থকরা পাগল হয়ে উঠেছে। ওরা গণতান্ত্রিক রীতির পরিবর্তে সহিংসতায় প্রবৃত্ত হয়েছেন- যা গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে’- মন্তব্য বাইডেন টিমের টেক্সাস স্টেটের কমিউনিকেশন পরিচালক তারেক তৌফিকের। মিনোসোটা স্টেটেও বাইডেনের গাড়ি-শোভাযাত্রা কালে ট্রাম্পের সমর্থকরা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির চেষ্টা করেছিলেন। বাইডেন যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন ট্রাম্পের সমর্থকরা উচ্চৈঃস্বরে লাগাতার হর্ন বাজান। বাইডেনের সমর্থকরা উত্তেজিত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বাইডেন সেটি ঘটতে দেননি। গত নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিতকারী মিশিগান এবং উইসকনসিনেও উত্তেজনা চলছে। এ দুটি স্টেটে  বাইডেনের অবস্থান ট্রাম্পের ওপরে ওঠায় রিপাবলিকানরা মারমুখী হয়েছেন বলে বাইডেন টিম অভিযোগ করেছে শুক্রবার। এদিকে, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৯ কোটি আমেরিকান আগাম ভোটে অংশ নেন। এতে বাইডেন জুটি এগিয়ে রয়েছেন বলে নির্বাচনে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণরত ‘ইউএস প্রজেক্ট’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ডাকযোগে ভোট প্রেরণ এবং আগাম ভোটের এই ধারা অব্যাহত থাকলে মোট ভোটের অধিকাংশই ১৫ কোটির (৬২%) মতো গৃহীত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভোটার হওয়ার যোগ্য আমেরিকানের সংখ্যা ২৫ কোটি ৭০ লাখ। এর মধ্যে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হচ্ছেন ২৪ কোটি। টেক্সাস এবং হাওয়াই স্টেটে ২০১৬ সালের নির্বাচনে গৃহীত ভোটের চেয়ে বেশি ইতিমধ্যেই পড়েছে। জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা, আরিজোনা এবং নেভাদার মতো ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটসমূহেও গত নির্বাচনে গৃহীত মোট ভোটের ৮০% এর অধিক ইতিমধ্যেই পড়েছে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে এবারের ভোট নিয়ে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা দূর হচ্ছে আগাম ভোটের প্রচলন করায়। ট্রাম্পের প্রচ- বিরোধিতা উপেক্ষা করে ডাকযোগে এবং আগাম ভোট কেন্দ্র চালু করায় ভোট প্রদানে অতীতের সব রেকর্ড এবার ভঙ্গ হতে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা উল্লেখ করেছেন। এমন ব্যালট বিপ্লবের মধ্যদিয়ে হোয়াইট হাউসে সবার পছন্দের মানুষকে অধিষ্ঠিত করার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কতটা সফল হবে- সে প্রশ্ন রয়েছে ভোটারের মধ্যে। রিপাবলিকান পার্টির একশ্রেণির সমর্থক বেপরোয়া হয়ে ওঠায় ভোটের দিন অপরাহ্ণে গোলযোগের আশঙ্কা করছেন অনেকে। শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের এমন আশঙ্কা থেকে বড় বড় সিটিতে টহল পুলিশ বৃদ্ধির পাশাপাশি ন্যাশনাল গার্ড তৈরি থাকার নির্দেশনা জারি হচ্ছে বলেও জানা গেছে। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের পর দুর্বার আন্দোলনের সময় যেসব সিটিতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটতরাজ, মারধরের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর মূল্যবান সামগ্রীর স্টোরকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জর্জিয়া স্টেটে জয়ী হওয়ার জন্য ট্রাম্প এবং বাইডেন-উভয়েই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সেখানকার ইউএস সিনেটের দুটি আসনেই নির্বাচন হচ্ছে। দুটিই রিপাবলিকানদের। কিন্তু এবার তা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় রিপাবলিকানরা পাগলপ্রায়। এবার ১০০টির মধ্যে ৩৫ আসনে নির্বাচন হচ্ছে। আর কোনো স্টেটেই একইসঙ্গে দুই আসনে এবার নির্বাচন হচ্ছে না। ফলে জর্জিয়ার গুরুত্ব বেড়ে গেছে। জর্জিয়া স্টেট সিনেটর বাংলাদেশি আমেরিকান শেখ রহমান শনিবার সন্ধ্যায় এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, দুটি আসনেই ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এ দুজন হলেন জন অসোফ এবং ড. রাফায়েল ওয়ার্নক। আমরা সর্বাত্মকভাবে মাঠে রয়েছি। এ দুজনের প্রচারণার মাধ্যমে বাইডেন-হ্যারিসের ভোট প্রার্থনাও চাঙ্গা হয়েছে। উল্লেখ্য, সিনেটে বর্তমান অবস্থান হচ্ছে রিপাবলিকান-৫৩ এবং ডেমোক্র্যাট-৪৫। স্বতন্ত্র দুজনই ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ২৩ এবং ডেমোক্র্যাটদের ১২টি আসন রয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা চেষ্টা করছে রিপাবলিকানদের জর্জিয়ার দুটি, ক্যানসাসের একটি আসন কেড়ে নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা। শেখ রহমান বলেন, জর্জিয়ার ডেমোক্র্যাটরা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে মাঠে রয়েছেন। ভোটারের মধ্যে যে জাগরণ দেখা যাচ্ছে, তা ডেমোক্র্যাটদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করবে বলে মনে হচ্ছে। ক্যানসাস থেকে কমিউনিটি লিডার রেহান রেজা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে শনিবার সন্ধ্যায় জানান, রিপাবলিকানদের দখলে ৩৯ বছর থাকা এই স্টেটের ইউএস সিনেট আসনটি ডেমোক্র্যাটরা এবার পাবেনই। বারবারা বলিয়ার লড়ছেন রিপাবলিকান রোজার মার্শালকে পরাস্থ করতে। এখানকার সিনেটর প্যাট রোবার্টস (রিপাবলিকান) অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় আসনটি শূন্য হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউএস সিনেটে এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক নির্বাচিত হননি। বারবারা সেই শূন্যতা পূরণ করতে যাচ্ছেন বলে রেহান রেজা উল্লেখ করেন। সেখানে বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে তুমুল লড়াই হতে পারে। সর্বশেষ জরিপেও ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন। মিশিগান উত্তপ্ত। শনিবার বাইডেন এবং বারাক ওবামা মিশিগানে ৩টি সমাবেশে ভোট প্রার্থনা করেন। এই প্রথম ওবামা ও বাইডেনকে একসঙ্গে দেখা গেল এবারের নির্বাচনী সমাবেশে। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সততা, নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন বাইডেন-এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেন ওবামা। ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে সঠিক ট্র্যাকে ফেরাতে বাইডেনের বিকল্প নেই। মিশিগানের গুটিকতক প্রবাসী ছাড়া সবাই বাইডেনের পক্ষে ভোট দিচ্ছেন বলে জানালেন সেখানকার কমিউনিটি লিডার সৈয়দ শাহেদুল হক। পেনসিলভেনিয়া চষে বেড়াচ্ছেন ট্রাম্প। শনিবার ৪টি সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে বাইডেনের কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, এই স্টেটে জয়ী হতে পারলেই ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিত হবে বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। এ জন্য তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘনঘন সমাবেশ করছেন। উল্লেখ্য, পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ সবকটি জরিপে এগিয়ে রয়েছেন। ড. নীনার নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ড. ইবরুল হাসান চৌধুরী শনিবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘আমাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত রেখেই বাইডেনের জন্য ভোট প্রার্থনা করছি। সব জরিপেই বাইডেন এগিয়ে থাকলেও গত নির্বাচনে এখানে সামান্য ভোটে জয়ী হন ট্রাম্প। সেটি খেয়ালে রেখেই ডেমোক্র্যাটরা মাঠে রয়েছেন। রিপাবলিকানদের স্টেট নিউ হ্যামশায়ারেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বাইডেন আর ট্রাম্পের মধ্যে। সেখানকার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে পঞ্চমবারের মতো মাঠে নামা বাংলাদেশি-আমেরিকান আবুল খান শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি রিপাবলিকান হিসেবেই কাজ করছি। তবে এবারের ভোট-ময়দানের চিত্র অন্যরকম। সরাসরি ভাগাভাগি হতে পারে সব ভোট। আর এর ফলে ডেমোক্র্যাটরাই উপকৃত হতে পারেন। আমরা সবাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্নের পর দ্রুত রেজাল্টের প্রত্যাশায় থাকব। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে- এমন কোনো আচরণ কেউই পছন্দ করবেন না। এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার প্রবাসীরাও সংঘবদ্ধভাবে কাজ করছেন বাইডেন-হ্যারিসের জন্য। কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অনেক পুরনো। সেই সুবাদে তারা পুরোদমে মাঠে নেমেছেন। কমিউনিটি লিডার মমিনুল হক বাচ্চু জানান, আমরা কাজ করছি, ‘বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক লিগে’র ব্যানারে। নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ থেকে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব পালন করছি। বোর্ড অব ইলেকশনের কর্মকর্তা মাজেদা এ উদ্দিন শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সোমবার অপরাহ্ণে নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাসমূহে ‘মোটর-শোভাযাত্রা’ হবে। কোনো প্রার্থীর সমর্থনে নয়, আমরা এটি করব পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদানের মধ্যদিয়ে মূলধারায় নিজেদের অবস্থানকে জানান দেওয়ার জন্য। ভোটের ময়দানে যে কমিউনিটির লোক বেশি থাকেন, তাদের গুরুত্ব বাড়ে প্রশাসনে। মাজেদা উল্লেখ করেন, নিউইয়র্ক অঞ্চলে বহু বাংলাদেশি বহুবছর আগেই সিটিজেন হয়েছেন। কিন্তু অনেকে এখন পর্যন্ত ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হননি। গত কয়েক সপ্তাহে আমরা তালিকাভুক্তির ক্যাম্প করেছি। অনেকেই সে দায়িত্বটি সম্পন্ন করায় এবার তুলনামূলকভাবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে নিউইয়র্কে কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোটের ব্যবস্থা এবারই প্রথম হওয়ায় অনেকেই কেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট প্রদান করেছেন। অবশিষ্টরা যাতে ৩ নভেম্বর মূল নির্বাচনের দিন দায়িত্বটি সম্পাদন করেন, সে তাগিদেই মোটর-শোভাযাত্রার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে, নিউইয়র্ক, মিশিগান, নিউজার্সি, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডার কিছু বাংলাদেশি এবং পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ট্রাম্পের সমর্থনে মাঠে নেমেছেন। এর আগে কখনই এমনটি ঘটেনি বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে সচেতন ভোটারের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন , ‘ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি উল্লাস করেছিল ভারতীয়রা। অথচ শপথ গ্রহণের পর এইচওয়ান-বি ভিসাসহ দক্ষ বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার বিরুদ্ধে নানা কঠোরতার প্রথম বলি হয় ভারতীয়রা। এতদসত্ত্বেও অনেকে সাপোর্ট দিচ্ছেন ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে।’ ‘সাউথ এশিয়ান্স ফর বাইডেন’ জোটের সিনিয়র অ্যাডভাইজার রাষ্ট্রদূত ওসমান সিদ্দিক বাংলাদেশি আমেরিকানসহ সবাইকে ভোট প্রদানের পরও সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। যারা আগাম ভোট দেননি, তাদের ৩ নভেম্বর কেন্দ্রে নেওয়ার অনুরোধও করেছেন তিনি। বাংলাদেশি আমেরিকান ওসমান সিদ্দিকের নির্দেশনায় ‘বাংলাদেশিজ ফর বাইডেন’র পক্ষ থেকেও ভোট প্রার্থনার নানা কর্মসূচি চলছে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, পেনসিলভেনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়াসহ বিভিন্ন স্টেটে।

সর্বশেষ খবর