আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকান্ড নয়, বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার নব্য পাকিস্তানে রূপান্তর করাই  ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য। জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে এক ভিডিওবার্তায় স্মৃতিচারণে এসব কথা  বলেন। ভিডিও বার্তায় তিনি জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। আমু বলেন, ওই দিন রাত ২টা ২০ মিনিটে প্রথম ব্রাশফায়ারের শব্দ শুনতে পাই। পরবর্তীতে ২০ মিনিট পর আবারও ব্রাশফায়ার। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর কাতরানোর শব্দ শুনে জাতীয় সব নেতার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘাতকরা আবারও ব্রাশফায়ার করে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তা নিশ্চিত করে। জেলের ভিতরে এমন নির্মম হত্যাকান্ড বিরল ঘটনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রের যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়, তারই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে জাতীয় চার নেতা যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন সেই অবদান কোনো দিন ভোলার নয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার সমালোচনা করেন  আমু। তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা  ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ  জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ এবং  মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে গলা টিপে হত্যা করে।

পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন, বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তার আসল চেহারা উন্মোচন করেন। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন জিয়াউর রহমান।