বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে জয়পুরহাটের দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুুল কুদ্দুসকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গত বুধবার সন্ধ্যায় তরুণীর মা র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করলে মধ্যরাতে সদর উপজেলার চকশ্যাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আবদুল কুদ্দুস জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকশ্যাম গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশিদ জানান,  মাসখানেক আগে ওই তরুণীকে সৌদি আরবে ভালো বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলেন দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও আদম দালাল আবদুল কুদ্দুস। এ অবস্থায় তিনি বুধবার বিকালে ওই তরুণীকে পাসপোর্ট করার কথা বলে খঞ্জনপুর এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় পরে তরুণীর মা বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

কুমিল্লায় নার্সকে গণধর্ষণের চেষ্টা : কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে অন্তঃসত্ত্বা এক নার্সকে গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিয়াদ (২২) নামে এক বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের মোস্তফাপুর এলাকায় গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাত ১১টার দিকে নির্যাতিত ওই নার্সকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অপর এক যুবক পলাতক রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কালির বাজার এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স হিসেবে কাজ করেন ওই তরুণী (২১)। বুধবার সন্ধ্যার পর কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে মোস্তফাপুর এলাকায় তাকে রাস্তা থেকে তুলে পার্শ্ববর্তী নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যায় চার যুবক। যুবকরা তরুণীকে গণধর্ষণের চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তরুণী দৌড়ে পালিয়ে আসেন। এ খবর পেয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা ও নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে তারা এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেন। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা চলছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মাহবুব আলম জানান, ভর্তির সময় ওই তরুণী জানিয়েছে চারজন মিলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। তরুণী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

কিশোরগঞ্জে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ : কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বাক প্রতিবন্ধী নারীকে (৫৪) যৌন নির্যাতন করতে গিয়ে গতকাল সকালে মঞ্জিল মিয়া (৬০) নামে এক লাকড়ি ব্যবসায়ী জনতার হাতে আটক হয়েছেন। আটক মঞ্জিল মিয়া সদর উপজেলার মূল সতাল গ্রামের মৃত ছায়ের উদ্দিনের ছেলে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, গত রবিবার মঞ্জিল মিয়া বাক প্রতিবন্ধী নারীকে বাড়িতে একা পেয়ে যৌন নির্যাতন করেন। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে মঞ্জিল মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।