শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্বনেতাদের নানা প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিস্থিতি চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাওয়া শুরু করতেই বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চীন এখনই কোনো মন্তব্য করতে চায় না। আর রাশিয়ায় ক্রেমলিন সমর্থক আইনপ্রণেতা প্রচুর পপকর্ন নিয়ে দেখতে বলেছেন নির্বাচনের ফলাফল। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া  দেখিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুসারে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। কাউকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেননি। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল তারাই প্রকাশ করবে। কানাডা কেবল  দেখে যাবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন বলেন, মার্কিন নির্বাচন তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা। এতে চীনের কোনো অবস্থান নেই। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রধান সম্পাদক হু শিনজিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে ঘিরে যে অস্থিরতা তৈরি হতে যাচ্ছে, সে পরিস্থিতিকে দরিদ্র দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করেছেন। রাশিয়ায় ক্রেমলিন সমর্থক আইনপ্রণেতা ভায়চেস্লাভ নিকোনভ ফেসবুকে জানান, এবারের নির্বাচনের ফল জঘন্যতম। আইনি লড়াইয়ে যিনিই জিতুন না কেন, অর্ধেক আমেরিকান তাকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচনা করবেন না। রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি বলেন, বোঝা যায় গণতন্ত্র কাজ করছে। তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘জেগে উঠুন এবং টুইটারে গিয়ে দেখুন কে জিতল। এখনো তা পরিষ্কার হয়নি। এটাই এখন নির্বাচন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট নিয়ে ভাবছে না বলে জানিয়েছে ইরান। গত মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি একটি টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমাদের নীতিকে প্রভাবিত করবে না। অন্যদিকে, স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জ্যানেজ জ্যান মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে এখনো ভোট গণনাই শেষ হয়নি। টুইটার কর্তৃপক্ষ তার ওই টুইটে ভুয়া তথ্যের সিল লাগিয়ে দিয়েছে। ইতালিতে সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী মাতিও সালভিনিও ট্রাম্পের পক্ষেই কথা বলেছেন। টুইটারে তিনি বলেছেন, সংবাদপত্রগুলো ভুল করে বাইডেন জয়ী হবেন এমন কথা বলছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব সতর্ক করে বলেছেন, ‘চলুন অপেক্ষা করি এবং দেখি কী ঘটে। স্পষ্টতই এতে ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে। অনেকের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কাছাকাছি বলে আমি করছি।’ ইউরোপে অবশ্য কিছু নেতা নীরব রয়েছেন। অন্যরা ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাওয়ার গত বুধবার সতর্ক করে বলেছেন, ‘এটি এমন একটি পরিস্থিতি, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা যথাযথভাবেই বলছেন। এটি এমন একটি বিষয়, যা আমাদের অবশ্যই উদ্বেগের কারণ হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির সিনেটর পেনি ওং টুইট করে বলেছেন, মার্কিন নাগরিকরা ভোট দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ভোটের ফলাফল পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন তারা। ফিলিপাইনের ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের  মুখপাত্র হ্যারি রোক বলেছেন, ফিলিপাইন সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো বড় পরিবর্তন আশা করবে না। নির্বাচনে যিনিই জিতুন, প্রেসিডেন্ট তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবেন।

সর্বশেষ খবর