বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে অর্থনীতির ঝুঁকিটাকে

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে অর্থনীতির ঝুঁকিটাকে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, স্বাস্থ্যের মতোই অর্থনীতির ঝুঁকিটাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে। কেননা করোনায় স্বাস্থ্য পরিচর্যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মোটামুটি একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। ফলে মার্চ-এপ্রিলে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বা এর ভয়াবহতা মোকাবিলায় মানুষ ছিল হতবিহ্বল। এখন কিন্তু সে অবস্থা নেই। যদিও স্বাস্থ্য খাতের খুব একটা উন্নতি হয়নি। এখনো হাসপাতালগুলোয় কাক্সিক্ষত সেবা নেই। তবু মানুষ বাঁচার জন্য নিজ থেকে চেষ্টা চালিয়ে গেছে। ফলে মানুষের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু মার্চ-এপ্রিলে যখন সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখনকার মতো পরিস্থিতি হয়তো আর কখনই হবে না। এর পরও অর্থনীতি বিষয়টাকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিপিআরসির এই নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মীরা তো এখনো ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন। আবারও দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ বাড়ছে। ইউরোপ-আমেরিকায় নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। যার একটা বড় প্রভাব আমাদের রপ্তানি খাতে পড়বে। ব্যবসা-বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এর একটা প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যারা এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি, তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই নতুন করে অচলাবস্থা শুরু হলে পরিস্থিতি নেতিবাচকই হবে। তবে এটা থেকে বাঁচাতে হবে দেশের অর্থনীতিকে। এ জন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সচল রাখতে হবে। আরেকটা হলো কৃষি খাত। এ খাতটাকে চাঙ্গা রাখতে হবে যে কোনো উপায়ে। বাম্পার উৎপাদনের ফলেই কিন্তু আমরা খাদ্য সংকটের মতো পরিস্থিতিতে পড়িনি। অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে নতুন করে যারা দরিদ্র হয়েছেন, এখনো দরিদ্র হচ্ছেন, তাদের জন্য একটা কর্মসূচি নেওয়া দরকার। তারা কীভাবে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন তা নিয়ে কাজ করতে হবে। এখানে আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো আমাদের ম্যাক্রো অর্থনীতির সূচকগুলো বেশ ভালো আছে। আর এ জন্যই বলছি আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু উল্টো দিকে আমাদের মাইক্রো অর্থনীতির সূচকগুলো কিন্তু ভালো অবস্থানে নেই। এই যেমন নতুন দরিদ্র মানুষ, পুরনো দরিদ্র জনগোষ্ঠী, তারা কিন্তু মোটেই ভালো নেই। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত, তারাও তো এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা। ফলে এবারের ধাক্কাটা স্বাস্থ্যের চেয়ে আর্থিক খাতেই বেশি পড়বে। এ জন্য অপ্রাতিষ্ঠানিক, এমএসএমই ও এসএমই খাতের জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর