শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজধানীতে হঠাৎ বাসে আগুন

বিভিন্ন এলাকায় ৯ বাস পুড়ে ছাই, বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে হঠাৎ বাসে আগুন

রাজধানীর গুলিস্তানে বাসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনাভাইরাসের এই সময়েও কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। অফিস-আদালতপাড়া কর্মচঞ্চল। চাকা ঘুরছে কলকারখানার। চলছে গাড়ি। যানজটের চিত্রও আগের মতোই। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট হাট-বাজার। পাশাপাশি চলছিল ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন। দুপুরে হঠাৎই পাল্টে গেল দৃশ্যপট। ব্যস্ত নগরীতে হঠাৎ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়। মুহূর্তেই ঢাকা ফাঁকা হতে শুরু করে। কমে যায় গাড়ি চলাচল। উদ্বিগ্ন হয়ে মানুষও দিগি¦দিক ছোটাছুটি শুরু করে। হকচকিত হয়ে পড়েন রাস্তায় টহলরত পুলিশ সদস্যরা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ ঘটে। এর পরই প্রাণভয়ে মানুষ চারদিকে ছোটাছুটি শুরু করে। মুহূর্ত কাটতে না কাটতেই গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার, শাহবাগ, মতিঝিল, বংশাল, কারওয়ান বাজার, সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে প্রেস ক্লাব-সংলগ্ন এলাকাসহ একে একে নয়টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। আতঙ্কে মানুষ তখন দিশাহারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওয়াকিটকিগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। একে একে বাসে অগ্নিসংযোগের খবর আসতে থাকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরে। তারা তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। এসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বারিধারা প্রগতি সরণি ও কারওয়ান বাজারে আরও দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এমন ঘটনা ঘটে রাজধানীর নয়টি স্থানে। বিএনপি জানায়, নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমানসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের অডিটর ওমর ফারুককে আটক করা হয় বলে জানান দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। অফিসের স্টাফরাও আসা-যাওয়া করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তার। রাতেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কার্যালয়ে থাকা স্টাফ ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন বলেন, কয়েকটি জায়গায় বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ধারণা  করা হচ্ছে, এসব ঘটনা নির্বাচনকেন্দ্রিক। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুপুর ১২টার পরপরই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উত্তর পাশে কর অঞ্চল-১৫-তে পার্ক করে রাখা সরকারি গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-০৪৭৪) আগুন দেওয়া হয়। বেলা ১টার দিকে মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭৫১৫) আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সোয়া ১টার দিকে রমনা হোটেলের সামনে চলন্ত গাড়ি ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো-গ-১৫-০৫৮৯), কাটাবনে আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-১৫৭২), ২টা ১০ মিনিটে সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-০৬৪৪), বংশালের নয়াবাজার এলাকায় আড়াইটার দিকে দিশারী পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৫৫), পৌনে ৩টায় পল্টনে জৈনপুরী পরিবহনে (চট্টগ্রাম মেট্রো-জ-১১-০৭১৮), ৩টায় মতিঝিলে পূবালী পেট্রল পাম্প-সংলগ্ন এলাকায় দোতলা বিআরটিসি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৫০০১) এবং ভাটারা থানার কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৫৩২৫) বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কিছু দুষ্কৃতকারী আগুন দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অধিকাংশ গাড়ি পুড়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশের মোবাইল টিম ও সিনিয়র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আইনানুগ কার্যক্রম নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গুলিস্তানের কয়েকজন হকার জানান, ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদল একটি মিছিল করে। ওই মিছিলের পরই গোলাপ শাহ মাজার এলাকার একটি বাসে আগুন লাগে। জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের একটি মিছিল প্রেস ক্লাব অতিক্রম করছিল। মিছিল থেকে উপনির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি প্রেস ক্লাব এলাকা অতিক্রমের পরপরই সচিবালয়ের পেছনের রাস্তায় একটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। কাটাবন এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজিজ সুপার মার্কেটের নিচতলার জমজম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে কয়েকটি গাড়ি যানজটে থেমে ছিল। অল্প গতিতে গাড়িগুলো চলছিল। বেলা দেড়টায় একটি বাসের পেছন থেকে ধোঁয়া ওঠা শুরু হয়। বাসটির যাত্রীরা দ্রুত নেমে পড়েন। মার্কেটের ওপর থেকে পানি ঢালা হয়। এমনকি মার্কেট থেকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হয়। গোলাপ শাহ মাজারে বাসে আগুন দেওয়ার বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মিছিল ওই এলাকা অতিক্রমের পরই বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জেনেছি। ওই মিছিল থেকে আগুন জ্বালাও, জ্বালাও পোড়াও স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। তবে বাসে আগুন প্রকৃতপক্ষে কে বা কারা দিয়েছে, এখনো জানা যায়নি। আমরা তদন্ত করছি।’ একটি সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, নয়াপল্টনে কর কার্যালয়ের সামনে একটি সরকারি বাসে আগুন দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন দুই ব্যক্তি। পরে কর কার্যালয়ের কর্মচারীরা এসে আগুন নেভান। এর কিছুক্ষণ আগেই ঢাকার উত্তরা-খিলক্ষেত এলাকায় উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করে ভাসানী ভবন হয়ে আবার সেখানে ফেরেন দলটির নেতা-কর্মীরা। দলীয় কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। তবে পুলিশ গেলে সরে পড়েন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডিএমপি সূত্র জানান, নয়াপল্টনে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পার্ক করা একটি স্টাফ বাসে, মতিঝিলে মধুমিতা সিনেমা হলের পেছনে একটি পাবলিক বাসে, গুলিস্তানে পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে বাসে, প্রেস ক্লাব এলাকা ও কাটাবনে বাসে আগুন লাগার তথ্য পান তারা। পুলিশের ধারণা, যাত্রী বেশে কেউ বাসগুলোয় আগুন লাগিয়ে নেমে গেছে।

ভোট কেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ : ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে উত্তরার মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে ওই কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজির পর তারা তিনজনকে গ্রেফতার করেছেন। ওই এলাকায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। কয়েকটি ককটেল উদ্ধার হয়েছে।’ আওয়ামী লীগ নেতা সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনে গতকাল সকাল ৯টায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সকাল পৌনে ১০টার দিকে উত্তরার ৮ নম্বর সেক্টরের মালেকা বানু হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। এর ঘণ্টাখানেক পর কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিব হাসান ককটেল বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পর ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। ভোটের পরিবেশ নিয়ে দুই প্রার্থী পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দেন। বিএনপি প্রার্থী তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেন। বিকালে সংবাদ সম্মেলনে ভোট প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচন দাবি করেন এস এম জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ অসত্য।’

আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ : রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক ঘুরে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটি নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের অভিমুখে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে আর যায়নি। এ সময় মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, কাজী মোর্শেদ কামাল, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, মহানগরীর সাবেক নেতা মো. আখতার হোসেন, মো. মিরাজ হোসেন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, অ্যাডভোকেট তাহমিনা সুলতানা, সাজেদা বেগম, গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ বিক্ষোভে অংশ নেন। এদিকে বিকালে যুবলীগ ও ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিছিল-সমাবেশ হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন, কামাল খান, জাফর উদ্দিন রানা, মাকসুদুর রহমান ছাড়াও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা তাজউদ্দিন আহমেদ তাজ, জহির উদ্দিন খসরু প্রমুখ সমাবেশে বক্তৃতা করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতারা সমাবেশে বক্তৃতা করেন। ঢাকা মহানগরী উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসাইন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে উত্তরে বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনের নেতারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরী ছাত্রলীগ। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, দক্ষিণ ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির উদ্বেগ ও নিন্দা : রাজধানীতে নয়টি বাসে আগুনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আজ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনের দিনে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে বিভিন্ন গণপরিবহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ন্যক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক। বিএনপি মনে করে, আজ অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ন্যক্কারজনক ভোট ডাকাতি, জালিয়াতি, অনিয়ম, কারচুপি, সন্ত্রাস, বিএনপি প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ার চিত্র আড়াল করতে এবং জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতেই ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সরকার এসব দুষ্কর্মের মাধ্যমে আগের মতোই বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং এর দায়দায়িত্ব বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চাপিয়ে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করে হয়রানি করতে চায়।

মালিক সমিতির নিন্দা : রাজধানীতে নয়টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাসমালিকদের সংগঠন ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি। সংগঠনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজধানীতে পরিকল্পিতভাবে নয়টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থাকে বিনষ্ট করতেই ঘটানো হয়েছে এমন ঘটনা। এখানে গান পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। একই সঙ্গে সড়কে আরও নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর