শিরোনাম
সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পুলিশের কেউ মাদকে সম্পৃক্ত থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের কেউ মাদকে সম্পৃক্ত থাকবে না

করোনায় জনগণের সেবায় পুলিশ যেভাবে পেশাদারি ও মানবিকতা দেখিয়েছে, তা দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। দেশের জনগণও অকুণ্ঠচিত্তে পুলিশকে এর প্রতিদান দিয়ে তাদের মনের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে। জনগণের প্রতি মানবিক আচরণ ও সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। তাই পুলিশের কোনো সদস্য মাদক গ্রহণ করবে না, মাদকের ব্যবসা করবে না, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্কও রাখবে না। গতকাল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ডিএমপিতে কর্মরত কনস্টেবল, নায়েক ও এএসআইদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ প্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুকূল্যে গত ১০ বছরে পুলিশ অনেক দূর এগিয়েছে। আমাদের যেতে হবে আরও বহুদূর। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সড়ক-মহাসড়কে, শিল্প-কারখানায় নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে। বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে, ব্যবসা করছে, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।’ ডিএমপিকে বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট ও ‘ফেস অব পুলিশ’ আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের কর্মদক্ষতা ও আচরণের ওপর পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে।

পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর বলেন, পুলিশে কোনোভাবেই দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। যারা দুর্নীতি করে বড় লোক হতে চায়, তাদের জন্য পুলিশের চাকরি নয়। সেবাপ্রার্থী বা জনগণকে কোনো ধরনের হয়রানি বা নির্যাতন করা যাবে না। মানুষ?কে ভালোবেসে হাসিমুখে সেবা দিতে হবে। আমরা জনগণের কাছে যেতে চাই। সারা দেশকে ৬ হাজার ৯১২টি বিটে ভাগ করে বিট পুলিশিং চালু করা হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিটের আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশের নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। আইজিপি বলেন, ‘পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে, পাশাপাশি তাদের প্রত্যাশাও অনেক। জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে, মানবিক আচরণ করতে হবে। পাশাপাশি দৃঢ়তার সঙ্গে আইন প্রয়োগ করতে হবে। দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করা একটি বিরল সুযোগ ও সম্মানের বিষয়। জনগণের জন্য আমরা যত বেশি কাজ করব, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তত বেশি সুসংহত হবে। শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে পুলিশে শৃঙ্খলার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত করা হচ্ছে। ঢাকায় আরেকটি পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে আটটি বিভাগীয় সদর দফতরে মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর