শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা থাকতে হবে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা থাকতে হবে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে

ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণ থেকে প্রসিকিউশন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। অভিযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে  গ্রেডিং সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে। গতকাল দুদকের পরিচালক ও মহাপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার বিষয়টি পরে দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মার্কিং সিস্টেম স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে, যাতে অভিযোগের প্রাথমিক বস্তুনিষ্ঠতা, ব্যাপকতা, আর্থিক সংশ্লেষের পরিমাণ সর্বোপরি দুদক আইনের তফসিল ও বিদ্যমান বিধিবিধানের সঠিক প্রতিফলন ঘটে। তিনি বলেন, অনুসন্ধানের পর যদি দেখা যায় অভিযোগটি ভিত্তিহীন বা দুদক আইনের তফসিলভুক্ত নয়, তাহলে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তি নিজেকে তাত্ত্বিকভাবে হয়রানির শিকার বলেও মনে করতে পারেন। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার বিষয়গুলোও মাথায় রাখতে হবে। অনাহূতভাবে দুদকের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রতিটি অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অনুসন্ধান বা তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। বেশ কয়েকবার এ বিষয়ে প্রশাসনিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যদিও পেন্ডিং অনুসন্ধান বা তদন্তের সংখ্যা কমেছে। তবে এ সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থা জনআকাক্সক্ষা পূরণে সহায়ক নয়। 

পরিচালকদের কাছ থেকে পাওয়া পেন্ডিং অনুসন্ধান ও তদন্তের পরিসংখ্যান  দেখে ইকবাল মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি পরিচালকদের উদ্দেশে বলেন, উপযুক্ত কারণ ছাড়া, ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে রাত-দিন কাজ করে এসব পেন্ডিং ইস্যু আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।  কোয়ারি বা অন্য কোনো অজুহাতে অভিযোগের অনুসন্ধানের দীর্ঘসূত্রতা হয়রানির নামান্তর।

তিনি বলেন, কমিশনের ইমেজ উন্নয়নে আপনাদের কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। তথ্য পাচারের মতো প্রশাসনিক অপরাধ যাতে না ঘটে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, দুদকের টেকসই প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার জন্য কমিশন বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। দেশে-বিদেশে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ  দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, রেশন সুবিধা, ঝুঁকি ভাতা, যাতায়াতের জন্য যানবাহনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রণোদনামূলক এসব কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বিকাশে ভূমিকা রাখলেও টেকসই সক্ষমতার জন্য ইনহাউস যোগাযোগ তথা নলেজ  শেয়ারিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই এখন থেকে পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা তাদের অধীন কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত নলেজ শেয়ারিং বৈঠক করবেন। পাশাপাশি পরিচালকরা সবচেয়ে সিনিয়র পরিচালকের নেতৃতে মাসে অন্তত একবার পারস্পরিক নলেজ শেয়ারিং বৈঠক করবেন। এ ছাড়া  রেকর্ডরুম বিধি অনুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে। সব রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ সভায় কমিশনের সব মহাপরিচালক ও পরিচালক উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর