বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বিক্ষোভ পরিচালক অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমকে হত্যার ঘটনায় রেজিস্ট্রারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিক্ষোভ করেছেন চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা হাসপাতালের পরিচালককে তার কক্ষে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিক্ষোভের কারণে গতকাল সকাল ১০টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা। বিক্ষোভ প্রশমিত হলে বেলা ১টার দিকে হাসপাতালের আউটডোরে আবার  রোগী দেখা শুরু হয়। ততক্ষণে দূর থেকে আসা অনেকেই চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যান।

প্রসঙ্গত, আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসার নামে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য- ডা. মামুনের পরামর্শেই আনিসুল করিমকে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে আদাবরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল এবং মাইন্ড এইডে রোগী পাঠানোর জন্য তিনি কমিশন পেতেন। আন্দোলনরত চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরারা বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না করেই একজন সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে মানসিক হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বুধবার সকালে তারা হাসপাতালের পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে তাদের কক্ষে অবরুদ্ধ করে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন। এদিকে আউটডোরে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরুর পর পরিচালকের কক্ষের তালা খুলে দিয়ে তার সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা বলার সুযোগ দেন আন্দোলনকারীরা। পরিচালক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী আমাদের কোনো কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে হলে আগে আমাকে জানানোর কথা। কিন্তু আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুন হাসপাতালের ডরমেটরিতে থাকতেন। তাকে ভোর ৪টার সময় ‘উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার’ খবর পেয়ে বিষয়টি আমি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানিয়েছিলাম। ডিজি স্যার আমাকে জিডি করার পরামর্শ  দেন। সে অনুযায়ী আমি থানায় জিডি করি। পরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে পুরো বিষয়টা জানতে পারি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি প্রপার চ্যানেলে বিষয়টি সুরাহা করতে। আন্দোলনরত চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলেছি, রোগীদের দুর্ভোগ হয় এমন কিছু না করতে। এ কারণে তারা  রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছেন। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর