জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশে সুশাসনের অবনতির কারণে সমাজে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা বাড়ছে; যার প্রভাবে সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ ও প্রশাসনেও ক্ষমতাসীনরা প্রভাব বিস্তার করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে এসব ছিল না। গতকাল দলের বনানী কার্যালয়ে সিলেট জেলার রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের জাপায় যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব এ টি ইউ তাজ রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আহাদ চৌধুরী, উসমান আলী চেয়ারম্যান প্রমুখ। সভায় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী আলহাজ কুনু মিয়ার নেতৃত্বে ব্যবসায়ী মো. আলী হোসেন সরকার, সুধীন্দ্র শুভ্রসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। জি এম কাদের বলেন, সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে দেশ থেকে অনেক রাজনৈতিক দল হারিয়ে গেছে। তিনটি দল টিকে আছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। অদূর ভবিষ্যতে এখান থেকেও কেউ ঝরে পড়বে।
জাতীয় পার্টি টিকে থাকতে চায়। রাজনৈতিকভাবে জাতীয় পার্টি অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ জনগণের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, রাজনীতিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে হলে সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ থেকে অনেক নেতা দলছুট হচ্ছেন। কিন্তু জাতীয় পার্টি থেকে এখন আর কেউ দলছুট হচ্ছেন না, বরং যারা চলে গিয়েছিলেন তারা আবার ফিরে আসা শুরু করেছেন। জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, জনগণ সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। যার প্রমাণ সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো। সরকার বলছে জনগণের সিংহভাগই আওয়ামী লীগের সমর্থনে রয়েছে, অথচ ভোটই পড়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। তাহলে সরকারের সমর্থকরা কেথায়? তিনি বলেন, সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে কারা আটক হচ্ছে? এদের প্রশ্রয়দাতা কারা? ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হলেও ধর্ষণ কমছে না। কারণ আইন হলে কী হবে, আইনের প্রয়োগ নেই। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিরও শাস্তির আইন আছে, প্রয়োগ নেই। সভাপতির বক্তব্যে এ টি ইউ তাজ রহমান বলেন, পার্টিকে শক্তিশালী করতে হলে নতুনদের সুযোগ দিতে হবে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব ক্ষেত্রে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারিনি বলেই আমাদের অনেক আসন হারাতে হয়েছে।
