শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জামিনের পরও ধরা হচ্ছে নেতা-কর্মীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জামিনের পরও ধরা হচ্ছে নেতা-কর্মীদের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, রাজধানীর উত্তরার তুরাগ থানা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক গতকাল হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার পথে সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে গেছে। তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, জামিনের পরও নেতা-কর্মীদের ধরে নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে এখন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানে দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, রাজধানীর পল্টন থানা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক লিয়ন হককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকের পুলিশ। এদের কারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে এখন সুশাসন দূরের কথা- শাসন বলতেই কিছু নেই। ভয়াবহ দুর্নীতি হচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করব সবাইকে এখন কঠিন একটা সময় চলছে, চরম একটা দুঃসময়। এই দুঃসময়ে আমাদের সবাইকে জেগে উঠতে হবে। বিশেষ করে মনের দিক থেকে জেগে উঠতে হবে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে বন্দী, আমাদের তরুণ সম্ভবনাময় নেতা তারেক রহমান। তিনি নির্যাতিত হয়ে মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। আমাদের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখেরও বেশি, গুম হয়ে গেছেন আমাদের প্রায় ৫শর ওপরে নেতা-কর্মী এবং নিহত হয়েছেন সহস্রাধিক এবং গত কয়েক দিনে আবারও গুম হয়েছেন ৩/৪ জন। ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে ও এম সাব্বির আহমেদের পরিচালনায় সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, এনামুল হক চৌধুরী, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, ছাত্রদলের নাজমুল হাসান, মিজানুর রহমান শরীফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও মির্জা ফখরুল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বলেন, আমি দুঃখিত যে আপনাদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি। কারণ এখন আমার বাসায় একজনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তাই ১৪ দিনের ‘আইসোলেশনে’ থাকতে হচ্ছে আমাকে। তিনি বলেন, কভিড-১৯ এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের সিনিয়র লিডার মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক নেতা-কর্মীকেই আমরা এই করোনায় হারিয়েছি। জানা গেছে, গত বুধবার থেকে উত্তরার বাসায় স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাসায় তাঁর শ্যালক কাজী একরামুল রশীদ কভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার এই সিদ্ধান্ত নেন মির্জা ফখরুল। অসুস্থ হওয়ার পর রশীদকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর