শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি দম্পতির দোষ স্বীকার

সন্ত্রাসে মদদ

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় গিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আইসিস’ বা ‘আইএসআইএস’-এ যোগ দেওয়া দুই ভাইকে আর্থিক সহায়তা তথা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কাজে মদদ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পেনসিলভেনিয়ার আপারডারবিতে বসবাসরত বাংলাদেশি দম্পতি শহিদুল গাফ্ফার বাবু (৪০) ও নাবিলা খান (৩৫)। জানা গেছে, তারা ম্যারিল্যান্ড স্টেটের বাল্টিমোর থেকে কয়েক বছর আগে ফিলাডেলফিয়ায় বসতি গড়েন। ‘দেশি ভিলেজ’ ও ‘নিউ দেশি ভিলেজ’ নামে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা রয়েছে এই দম্পতির। তারা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং পারিবারিক অনুষ্ঠানে ক্যাটারিংয়ের কাজও করেন। বগুড়ার সন্তান বাবু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও গ্রহণ করেছেন। তবে তার স্ত্রী নাবিলা এখনো গ্রিনকার্ডধারী। তিনি সবসময় হিজাব পরে চলাফেরা করেন। ধর্মের নামে জঙ্গিবাদে তার পরিবারের সমর্থনের গুঞ্জন আগে থেকেই ছিল। আপারডারবি সিটির কাউন্সিলম্যান শেখ সিদ্দিক জানান, বাবু সপরিবারে এখানকার মন্টগোমারি কাউন্টিতে বাস করছিলেন।

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে কমিউনিটির প্রায় সবারই পরিচিত তিনি। যুক্তরাষ্ট্র বিচার বিভাগের মুখপাত্র গত ১৯ নভেম্বর জানান, ১৮ নভেম্বর তাদের ফিলাডেলফিয়ার ফেডারেল কোর্টে হাজির করা হয়। সে সময়েই জজ যশোয়া ডি উলসোনের এজলাসে উভয়েই দোষ স্বীকার করেন। ফলে তাদের ৫ বছর করে জেল এবং আড়াই          লাখ ডলার জরিমানা করা হতে পারে। জেল খেটে মুক্তিলাভের পর আরও তিন বছর বিশেষ নজরদারিতে অতিবাহিত করতে হবে তাদের। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত কয়েক বছরে আইসিসে যোগদানকারী ভাই সংক্ষিপ্ত নাম জেকে এবং আইকে-কে তারা বিপুল অর্থ পাঠিয়েছেন। গত বছর আইকে সিরিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, সন্ত্রাসে সহায়তাকারীর মধ্যে বাবুর মায়ের ইন্ধনও রয়েছে। তার সংক্ষিপ্ত নাম ওয়াইপিকে। তিনি বাস করেন সৌদি আরবে। মাঝেমধ্যে বাংলাদেশেও যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয়, বাবুর যমজ বোনেরাও (এনকে) আইএসআইএসকে প্রকাশ্যে সহযোগিতা দিচ্ছেন। তারা থাকেন বাংলাদেশে। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর মার্চে সন্ত্রাসী হিসেবে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত আইকে ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন স্টুডেন্ট ভিসায়। কলেজে ভর্তি হয়ে ভাই-ভাবির সঙ্গে বসবাস করতেন ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ইউএস অ্যাটর্নি উইলিয়াম এম ম্যাকসোয়াইন বলেন, নাবিলা খানের দুই ভাইকে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসআইএসে যোগ দিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে উৎসাহ দিয়েছেন এই দম্পতি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর