শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ধর্ষণের পর সাত তলা থেকে ফেলে দেওয়া হয় মেয়েটিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর দক্ষিণখানে একটি বাসার ছাদে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এরপর লাশ সাত তলা থেকে নিচে ফেলে দেন ধর্ষক। গত ৮ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বাসার নিরাপত্তারক্ষী মোহন ধর্ষণের পর মেয়েটিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে তিনি জানান, ওইদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ছাদবাগানে পানি দিতে যায় মেয়েটি। বাসার নিরাপত্তারক্ষী মোহনও (২০) তখন ছাদে ওঠেন। একা পেয়ে তিনি মেয়েটিকে ছাদে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর মেয়েটির লাশ সাত তলার ছাদ থেকে ফেলে দেন। মেয়েটি ধর্ষণের কথা সবাইকে বলে দেবে, এই ভয়ে মোহন মেয়েটির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার এসআই রেজিয়া খাতুন জানান, আসামি মোহন এখন কারাগারে। খুন হওয়া মেয়েটি ওই বাসার গৃহকর্মী ছিল। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। দুই বছর ধরে সে ওই বাসায় কাজ করত। ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে মোহনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা। মেয়েটিকে ধর্ষণ করা এবং সাত তলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে পাশের একটি ভবনের ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর