রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জরুরি অনুমোদনের আবেদন ফাইজারের ভ্যাকসিনের

প্রতিদিন ডেস্ক

ফাইজার ও বায়োএনটেক যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে তাদের ভ্যাকসিন ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন চেয়ে গত শুক্রবার আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। সূত্র : বিবিসি।

এ সময় এক ভিডিও বার্তায় ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা একে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে উল্লেখ করেন। বলেন, ‘অত্যন্ত গর্ব এবং আনন্দ ও স্বস্তির সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের কভিড-১৯ টিকার জরুরি অনুমোদনের আবেদন এখন এফডিএ কর্তৃপক্ষের হাতে।’ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর কবে নাগাদ অনুমোদন পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আশা বলছে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়া যাবে। যদি এফডিএ আগামী মাসের প্রথমার্ধে টিকার অনুমোদন দিয়ে দেয় তবে ‘অনুমোদন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা টিকা বিতরণ করতে প্রস্তুত আছে’ বলে জানায় ফাইজার ও বায়োএনটেক। প্রথম দিকে কারা টিকা পাবেন সেটা নির্ধারণ করবে ‘দ্য সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসিপি)। সিইও বোরলা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘বিশ্বের হাতে কভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন তুলে দিতে আমরা যে যাত্রা শুরু করেছিলাম, টিকার জরুরি ব্যবহারের আবেদন সেই যাত্রাপথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’ প্রসঙ্গত, ফাইজার ও বায়োএনটেক তাদের টিকার শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রাথমিক যে ডেটা প্রকাশ করেছে তাতে, তাদের টিকা সব বয়সের মানুষের ওপর প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর। বিশেষ করে ৬৫ বছরের ওপরের বয়স্ক মানুষের বেলায় এটি ৯৪ শতাংশের বেশি কার্যকর।

বিশ্বের কয়েকটি দেশে ৪৩ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী ফাইজারের টিকার শেষ ধাপের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাদের কারও কারও শরীরে মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা গিয়েছিল এবং সেগুলো দ্রুত সেরেও যায়।

এ ছাড়া গত বুধবার ফাইজারের ঘোষণা আসার মাত্র দুই দিন আগে মডার্না তাদের কভিড-১৯ এর টিকা ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছিল। গত সোমবার মডার্না তাদের শেষ ধাপের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলের প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করে। এইক সঙ্গে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার কভিড-১৯ এর টিকারও শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। যার প্রয়োগে মানবদেহের টি-সেল খুব ভালোভাবে সাড়া দিচ্ছে বলে দাবি কর্মকর্তাদের। যা মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অ্যান্টিবডি তৈরির ইঙ্গিত দেয়। চীন ও রাশিয়ার দুটি কোম্পানিও কভিড-১৯ এর টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে রয়েছে। তাদের টিকারও শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর