সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্নীতি করলে দুদক পিছু ছাড়বে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি করলে দুদক পিছু ছাড়বে না

ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণদের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে যে, দুর্নীতি করলে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। কঠোর শাস্তি পেতে হবে। দেশে এমনকি বিদেশে পালিয়েও শান্তিতে থাকা যাবে না। দুদক পিছু ছাড়বে না। এক্ষেত্রে কারও ব্যক্তিগত পরিচয়, সামাজিক, পেশাগত, ধর্মীয় অন্য কোনো পরিচয়ে কাজ হবে না। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, বিগত প্রায় পাঁচ বছরে আমরা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে চেষ্টা করেছি। ব্যক্তি আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় ছিল না। আমাদের কর্মপ্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল অপরাধের ধরন, ব্যাপকতা এবং বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান। দ্রুততর সময়ে অপরাধকে আমলে নেওয়ার অব্যাহত চেষ্টা করেছি। জনহয়রানি যাতে না ঘটে, সেক্ষেত্রে অপরাধী শনাক্তকরণেও সতর্কতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করেছি। ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার এশিয়া ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদেন বলা হয়েছে ‘দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ দুদকের প্রতি তাদের আস্থা রাখে’। গণমাধ্যমকর্মীরা এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক এ জাতীয় প্রতিবেদন সবসময়ই গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে থাকে। দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেছেন। আমি মনে করি, জনগণের প্রতি দুদকের দায়িত্ব আরও বাড়ল। তাদের এই আস্থাকে টেকসই করতে হবে। দুদককে নিরবচ্ছিন্নভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণের আকাক্সক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হলে দুর্নীতি শনাক্তকরণ, অনুসন্ধান, তদন্ত এবং প্রসিকিউশন নিখুঁতভাবে করার কোনো বিকল্প নেই। এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তিতে ঘুষ-দুর্নীতির প্রকোপ রয়েছে এ কথা আমরা কখনো অস্বীকার করি না। তবে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে আমরা বহুমাত্রিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধে কমিশন প্রায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছে। বিগত পাঁচ বছরে ফাঁদ মামলার মাধ্যমে অসংখ্য ঘুষখোরকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের কারও কারও বিচারিক আদালতে সাজাও হচ্ছে। গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের কণ্ঠকে উচ্চকিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের অসংখ্য সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি সেবা প্রদান সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী এ দায়িত্ব পালনের নামে-ঘুষের মতো ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন। এদের পরিণতি সুখকর হবে না। আজ হোক কাল হোক তদেরকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে। জনগণ দুর্নীতিপরায়ণদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রদর্শন করে। তাই তারা দুদকের প্রতি তাদের আস্থা ব্যক্ত করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর