শিরোনাম
বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মানব পাচারে বিদেশি দুই এয়ারলাইনস জড়িত : সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারে দুটি বিদেশি এয়ারলাইনসের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। 

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে মানব পাচারে জড়িত ওই দুটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাদের সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, তাদের কিছু কর্মী মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েছেন। চলতি বছরের গত ২৬ মে লিবিয়ার মিজদাহতে গুলি করে ২৬ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই বাংলাদেশিরা প্রতারণার শিকার হন। তারা ভ্রমণ ভিসা ও কনফারেন্স ভিসায় দেশ ছাড়েন।

এ ধরনের ভিসায় যারা যান, তারা ফিরতি টিকিট কাটেন। এ পর্যন্ত যারা লিবিয়াতে গেছেন তারা একই এয়ারলাইনসে করে গেছেন। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের টিকিট ছিল ওয়ানওয়ে। এ ধরনের টিকিট ইস্যু করা হয় যারা লম্বা সময়ের জন্য কোনো দেশে অবস্থান করেন তাদের ক্ষেত্রে যাওয়ার সময় তারা অভিবাসন পুলিশকে ভুয়া ফিরতি টিকিট দেখিয়েছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, লিবিয়ার মিজদাহতে ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় করা মামলার তদন্তে ছয়জনের ব্যাপারে সিআইডির অনুরোধে রেড নোটিস জারি করেছে ইন্টারপোল। ওই ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে পল্টন ও বনানীতে তিনটি মামলা করে। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও ২৩টি মামলা হয়। সিআইডি মোট ২৫টি মামলার তদন্ত করছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছেন ২৯৯ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৭১ জনকে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৪২ জন। হবিগঞ্জে করা একটি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

সিআইডি প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, ইন্টারপোল যে ছয়জনের ব্যাপারে রেড নোটিস জারি করেছে তাদের একজন তানজিমুলকে ইতালিতে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদের খোঁজ করা হচ্ছে। সিআইডি দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মে মাস থেকে বিভিন্ন সময় ৩৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়ায় পাচার করা হয়। তাদের ইতালি ও স্পেনে পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ার বেনগাজিতে নিয়ে যাওয়া হয়। মুক্তিপণের জন্য নির্বিচারে গুলি করে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর