শিরোনাম
বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক অগ্রাধিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক অগ্রাধিকার

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সরকারের অঙ্গীকার। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের উদ্যোগে ‘নিসচা’র ২৭ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর  সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ আংশিক কার্যকর করা হলেও সবার সহযোগিতায় এই আইন পূর্ণাঙ্গ কার্যকর করা হবে অচিরেই। সড়কের পাশে যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধে পরিকল্পিত বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত গতিরোধক দুর্ঘটনা ঘটায়। তাই সাড়ে পাঁচ শ অপরিকল্পিত গতিরোধক এরই মাঝে অপসারণ করা হয়েছে। আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছে রোড সেফটি অডিট উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন প্রায় পাঁচ শ কিলোমিটার মহাসড়কে রোড সেফটি অডিট পরিচালনা করা হয়েছে। বর্তমানে তিন শ কিলোমিটারে অডিট কার্যক্রম চলমান। তিনি বলেন, বিগত এক যুগে প্রায় সাড়ে চার শ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা আরও বেশি লেনে উন্নীত করা হয়েছে।

গাড়িচালক বিশেষ করে ট্রাকচালকদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে সড়ক মন্ত্রী জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমিয়ে আনতে হাইওয়ে পুলিশের জনবল ও সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশের মাঝে সচেতনতার অভাব প্রকট। তিনি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে অধিকতর সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কোনোভাবেই বেপরোয়া গাড়ি চালানো যাবে না। এক্ষেত্রে মালিক শ্রমিকদের গাড়ির চালকদের কাউন্সিলিং করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি আরও যুক্ত ছিলেন নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর শামসুল হক, বিআরটিএর চেয়ারম্যান, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রেগুলেটরি সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং সড়ক পরিবহনের সংশ্লিষ্ট অংশীজন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর