বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্র এখনো শৃঙ্খলমুক্ত নয়। আজও নামে-বেনামে একদলীয় ফ্যাসিবাদের আক্রমণে আক্রান্ত। একতরফা নির্বাচন করে আবারও পুরো জাতিকে একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা হয়েছে। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসনের চরিত্রগুলো ক্রমশ ফুটে উঠছে। আজ ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী ও নিরঙ্কুশ করার জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে ফেলার আয়োজন চলছে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সে আয়োজন নস্যাৎ করে দিতে হবে। স্বৈরাচার পতন দিবসে এটাই হোক আমাদের দৃপ্ত শপথ। মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে আবারও অর্জিত হয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা। এই দিনে গণতন্ত্রের দুশমনরা পরাজিত হলেও আজও তারা চুপ করে বসে নেই। তাই সেই নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনের অটল ও আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চক্রান্তমূলকভাবে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বারবার অপশক্তিগুলো গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ সে অপচেষ্টাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে সব সময়। আমাদের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খেয়েছে তার অগ্রযাত্রায়। কিন্তু এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সব বাধা অতিক্রম করে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করেছে।