বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
টিআইবির আলোচনা

জনমনে সচেতনতা না বাড়লে দুর্নীতি থামানো সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। এর মোকাবিলায় সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আইন প্রয়োগ ও বিচারব্যবস্থার পাশাপাশি জনমনে সচেতনতা না বাড়ালে দুর্নীতি থামানো সম্ভব নয়।’

গতকাল আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে ‘দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে তারুণ্য : কার্টুন ও চিত্রশিল্প’ শীর্ষক আলোচনা ও ‘দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতা, ২০২০’-এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বক্তারা। শিক্ষাবিদ ও টিআইবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য, টিআইবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান বক্তব্যে বলেন, ‘কার্টুন একটি ভিজুয়াল মাধ্যম। একটি ছবির অনেক ক্ষমতা। কার্টুন এমন একটা বিষয় যেটা ছোট বাচ্চা থেকে বয়স্করা সবাই বোঝে। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন যদি ভালোভাবে কাজ করত তাহলে টিআইবির কোনো দরকার ছিল না।’ ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা ও তরুণদের সম্পৃক্ত করা- এ কাজটি শুরুর পেছনে মানুষের ভাবনা ছিল। আমরা মনে করি দেশের জনগণ সচেতন না হলে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়।’ আবুল মোমেন বলেন, ‘আমরা আমাদের সমাজের দিকে তাকালে দেখব দৈনন্দিন জীবনেও সত্য-মিথ্যাকে জড়িয়ে ফেলছি। একজন দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে আমরা নির্বাচিত করছি। দুর্নীতিবাজরা সংসদে চলে আসছে। এখন দুর্নীতি ও সুনীতি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে যে বোধটা দরকার তা আমাদের শানিত হয়নি।’ ‘কার্টুন ও চিত্রশিল্প’ শীর্ষক আলোচনা ও ‘দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতা’য় ১৩০ জন কার্টুনিস্ট অংশ নেন। দুটি গ্রুপে এ প্রতিযোগিতা হয়। ক গ্রুপে ছিল ১৩-১৮ আর খ গ্রুপে ১৯-২৫ বছর বয়স পর্যন্ত। দুটি গ্রুপ থেকে ২২৭টি কার্টুন জমা পড়ে। এর মধ্যে ক গ্রুপে ১১৯ ও খ গ্রুপে ১৬৮টি কার্টুন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর