বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
পি কে হালদারের গ্রেফতারি পরোয়ানা

ইন্টারপোলে পাঠানোর অগ্রগতি জানতে চায় হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদারের গ্রেফতারি পরোয়ানা ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে প্রতিবেদন, মামলার এফআইআর ও সম্পত্তি-অর্থ জব্দের আদেশ আদালতে উপস্থাপনের পর গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ৩ জানুয়ারি সময় রেখেছে। এর মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে। এদিকে পি কে হালদারের চাচাতো ভাই পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক অমিতাভ অধিকারী এবং পি কে হালদারের সাবেক সহকর্মী ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দীকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়েছে। শুনানিতে হাই কোর্ট বলে, আজ (গতকাল) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। দিনটা খুব ভালো দিন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। উজ্জ্বল কুমার নন্দীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন ও অমিতাভ অধিকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই আদেশ অনুসারে ২ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক।

প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এর মধ্যে দেশে ফিরতে প্রশান্ত কুমার হালদার এ বিষয়ে আদালতের কাছে আবেদন করতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের কাছে একটি পত্র দেন। এরপর কোম্পানিটি আদালতে আবেদন করে। ৭ সেপ্টেম্বর আদালত বলেছে তিনি কখন কীভাবে আসবেন তা জানাতে। পরে ২০ অক্টোবর একটি আবেদন করে কোম্পানিটি। যেখানে নির্বিঘ্নে দেশে আসার কথা বলা হয় এবং সেখানে ২৫ অক্টোবরের একটি টিকিটের কপিও সংযুক্ত করা হয়েছিল। ২১ অক্টোবর হাই কোর্ট এক আদেশে দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার গ্রেফতার নিশ্চিত করতে বলে। কিন্তু ২৪ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে জানান, পি কে হালদার ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরছেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর