বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাস্কর্য ইস্যুতে উত্তাপে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে

মাহমুদ আজহার

ভাস্কর্য ইস্যুতে উত্তাপে সরকারের রাজনৈতিক  উদ্দেশ্য আছে

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে একটি রাজনৈতিক দিক আছে। এ ইস্যুতে উত্তাপ ছড়ানোর পেছনে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। তবে সরকারের উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা কী, এটা তারা কেন করছে-তা সরকারই ভালো বলতে পারবে। আমি মনে করি, সরকারের লোকজনই এর সঙ্গে জড়িত।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ধর্মভীরু মানুষ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হয়তো ভাস্কর্যের ব্যাপারে ভিন্ন মতামত দিচ্ছেন। এর একটি রাজনৈতিক দিক আছে। সেদিক থেকে বিচার করলে দেখা যাবে, এটা রহস্যময়। কারণ, এটা বিরোধী দল থেকে করা হচ্ছে না। এগুলো কারা করছে, সরকারই বলতে পারবে। এর পেছনে অবশ্যই সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। তিনি বলেন, এখন দেশে সত্যিকার অর্থেই সব দিক থেকে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে।

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর ধরে শুধু মানুষই আক্রান্ত হয়নি, আতঙ্ক ছিল। এই প্রাণঘাতী ভাইরাস এখনো যায়নি। কখন যাবে তাও জানি না। ভ্যাকসিন আসছে। আমাদের দেশে মানুষের ওপর কীভাবে প্রয়োগযোগ্য হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সবকিছুই প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দেশের অর্থনীতি এখন ভঙ্গুর প্রায়।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এমন কোনো মানুষ নেই যে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়েছে। অনেকেই এখন আয় রোজগার নেই। দরিদ্র মানুষরা আরও বেশি দরিদ্র হচ্ছে। এখন লাখ লাখ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটায়। তাঁরা আরও অসহায় ও নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাঁদের দুঃখ লাঘব করার কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের। তিনি বলেন, দেশে এখন কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম নেই। করোনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই নাজুক। একটি বিষয় মানুষ পরিষ্কার, সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না। স্থাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, করোনাকালে রাজনৈতিক কার্যক্রমের কোনো সুযোগই নেই। দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে আছে, কখন মুক্ত পরিবেশ পাবে। কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সরকার সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া কোনো সভা সমাবেশ করা যাবে না। সরকার এটা কেন করলেন তা বোধগম্য নয়। এটা আমার কাছে রহস্যজনকও মনে হয়। সরকার কি কোনো কারণে ভীত, আতঙ্কিত বা বিচলিত হয়ে পড়েছে? তবে এটুকু বলব, আমরা এক ধরনের শূন্যতার মধ্যে আছি। আশা করব, করোনার এই অভিশাপ ও শাস্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সেই প্রার্থনাই করি। তিনি এও বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ কী, কারও পক্ষেই এটা বলা সম্ভব নয়। আমরা শুধু আশা করব, ভবিষ্যৎটা আরও ভালো হবে। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তারা তাদের নিজেদের পছন্দমতো সরকার গঠনের সুযোগ পাবে। বিরোধী দল হিসেবে আমরা এখন কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছি না। সরকার সেই ভূমিকা পালন করতে দিচ্ছে না। করোনার কারণে কিছু করাও যাচ্ছে না। করোনামুক্ত দেশ হলে অবশ্যই বিএনপি বিরোধী দলের সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। তখন রাজনৈতিক কার্যক্রম ভালোভাবে শুরু করতে পারব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর