সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সেই রিপোর্টে কী ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার পর বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত সেই আলোচিত বিশেষ প্রতিবেদনের তথ্যের সঙ্গে র‌্যাবের তদন্তেও মিল রয়েছে। হত্যার নেপথ্যে কী ছিল, কারা জড়িত তা সেই প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে। ‘ইয়াবা তদন্তে প্রদীপের সঙ্গে কথা বলাই কাল হলো সিনহার’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি গত ১০ আগস্ট প্রকাশের পর সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ বিদেশে ভাইরাল হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনটির কিছু অংশ তুলে ধরা হলো। যা র‌্যাবের দীর্ঘ তদন্তেও উঠে আসে।

‘জাস্ট গো’ ইউটিউব চ্যানেলে কক্সবাজার এলাকার ইয়াবার আদ্যোপান্ত তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। টানা কয়েক দিন ইয়াবা বাণিজ্যের নেপথ্য কাহিনি নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করছিলেন মেজর সিনহা। কোনো ধরনের ঝঞ্ঝাট ছাড়াই সময় পার করছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাসের সাক্ষাৎকার রেকর্ড করাটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় সিনহার জন্য।

প্রত্যক্ষদর্শী ও একাধিক সূত্র অনুযায়ী, ক্রসফায়ারের নামে নৃশংসভাবে খুন করা অসংখ্য মানুষের রক্তে রঞ্জিত প্রদীপ কুমারও ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। মেজর সিনহার তথ্যবহুল প্রশ্নের পর প্রশ্নে চরম অস্বস্তিতে পড়েন প্রদীপ। নানা অজুহাতে ভিডিও সাক্ষাৎকার এড়ানোর চেষ্টা করেন প্রদীপ, কিন্তু ব্যর্থ হন। ওসি প্রদীপ বাধ্য হয়েই প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে থাকেন।

ক্রসফায়ারে অতিমাত্রায় উৎসাহী ওসি প্রদীপ ও তার সহযোগীরা ইয়াবা বাজারজাত এবং পাচারের ক্ষেত্রেও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভূমিকার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হন। সফল সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেই মেজর সিনহা আর একদন্ড সময় ক্ষেপণ করেননি। ঝড়ের বেগে থানা থেকে বেরিয়ে এসে নিজের গাড়িতে উঠে বসেন। তার সঙ্গে ভিডিও রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতও ক্যামেরা, ট্রাইপড, ব্যাগ গোছাতে গোছাতে ছুটে গিয়ে গাড়িতে উঠতেই টেকনাফ সদর ছেড়ে গাড়িটি ছুটতে থাকে উত্তর দিকে, বাহারছড়ার পথে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর