রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সেই চরমপন্থিরা এখন আতঙ্কে!

খুলনায় লিপু হত্যায় দুই চরমপন্থি গ্রেফতার, নেপথ্যে পুরনো দ্বন্দ্ব

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনার ফুলতলায় নিষিদ্ধ চরমপন্থিদের অপতৎপরতা আবারও শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতে ফুলতলা তাজপুর গরুর হাট এলাকায় চরমপন্থি দল থেকে ফিরে আসা সদস্য মোল্লা হেমায়েত হোসেন লিপুকে (৪৫) গুলি করে হত্যার পর নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফারুক মোল্লা (৪৪) ও মুরাদ হোসেনকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে। তারাও চরমপন্থি দলের সদস্য। পুরনো দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। জানা যায় নিহত মোল্লা হেমায়েত লিপুসহ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির ৩৫ জন সদস্য গত বছরের মে মাসে পাবনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চরমপন্থি দলের সদস্যদের মধ্যে হত্যা পাল্টা হত্যার ঘটনা ঘটে। ২০০৩ সালে চরমপন্থি জলিল বাহিনীর প্রধান আবদুল জলিল মোল্লা প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হওয়ার পর দলের দায়িত্ব নেয় তার নিকটাত্মীয় ফারুক মোল্লা। এরপর ফুলতলার সিকিরহাট এলাকায় পাল্টা হামলা ও গুলিতে চরমপন্থি দলের আরেক সদস্য নূর হোসেন নিহত হয়। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘসময় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থানের পর কয়েকদিন আগে লিপু হত্যায় গ্রেফতার হওয়া চরমপন্থি সদস্য মুরাদ হোসেন এলাকায় ফিরেছে। তার সঙ্গে একসময় চরমপন্থি দলের নেতৃত্ব দেওয়া ফারুক মোল্লার সখ্য তৈরি হয়। শুক্রবার রাতে লিপুকে হত্যার সময় দুজনই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। চরমপন্থি দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন। এতে আত্মসমর্পণ করা চরমপন্থি দলের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, নিহত লিপু একসময় চরমপন্থি দলের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার সঙ্গে আরও ৩৫ চরমপন্থি সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু সবাই স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করেনি। পুরনো কোনো দ্বন্দ্বকে ঘিরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। পুরো বিষয়কে মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর