এসএমই শিল্পের উদ্যোক্তা কেপিসি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাজেদুর রহমান বলেছেন, এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়নি। তবে আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হয়েছে। দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ফলে নতুন করে সংকট তৈরি হচ্ছে। সরকার-ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে এসএমই খাতের জন্য যে ২০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আবার রি-পেমেন্টের সময়ও চলে এসেছে। যারা ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত নন তারা তো কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না। তাদেরও এ প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে। তাদের বাঁচাতে না পারলে বেকার লোকে দেশ ভরে যাবে।’ এসএমই খাতের সমস্যা ও সংকট নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী সাজেদুর রহমান বলেন, আবার এই দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের মধ্যেই শুরু হয়েছে ভ্যাট অফিসের হয়রানিমূলক কার্যক্রম। ভ্যাট অফিসের কথায় কথায় অভিযান পরিচালনা করা মোটেও সময়োপযোগী নয়। এখনো এমনিতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে আবার ভ্যাট কর্মকর্তাদের হয়রানি নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করছে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিক গতি ফেরাতে সরকারের নেওয়া সহায়তাগুলো আরও কমপক্ষে বছরখানেক অব্যাহত রাখা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। সেরা এসএমই উদ্যোক্তার পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভ্যাট-করের উচ্চ হারের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। করোনার কারণে অনেক দেশই ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে করে ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারেন। আর আমাদের এখানে তেমন কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। বরং কয়েক গুণ বেশি ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হচ্ছে।
পেপার কাপের জন্য একই রকম কাঁচামাল আমরা আমদানি করি ৬১ শতাংশ শুল্ক দিয়ে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে মাত্র ৫ শতাংশ। আবার চোরাই পথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবাধে ঢুকছে ফিনিশড প্রোডাক্ট, যা আমাদের উৎপাদিত মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে প্রতিযোগিতায় আমরা হেরে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, এ ছাড়া সাধারণ ঝুঁকির সঙ্গে পরিবেশগত ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্য। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এটা বন্ধ করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।