নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিশিষ্ট ৪২ নাগরিকের তোলা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এগুলোর কোনোটার ভিত্তি আছে বলে মনে করি না। এ রকম একটি বিষয় উপস্থাপন করা সুধীজনের জন্য বিবেচনাপ্রসূত নয়।’ গতকাল বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণ, আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে তা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে এই দাবি জানিয়েছেন। এদিকে গতকাল এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, এটি রাষ্ট্রপতির কাছে পেন্ডিং। এ নিয়ে কথা বলব না। সাড়ে ৫টার দিকে নির্বাচন ভবন (কার্যালয়) থেকে বাসায় যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে এ কথা বলেন। কী উদ্দেশ্যে বিশিষ্টজনরা এটি করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘কী উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছেন, সেটি তারাই বলতে পারবেন।’ তিনি বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে তারা বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। এখন রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটি মহামান্য রাষ্ট্রপতির ব্যাপার। তবে এসব কথাকে তিনি ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া বলেও উল্লেখ করেন। অভিযোগগুলোর বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরে কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বিশিষ্টজনরা দু-একটা পত্রিকা বা টেলিভিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের একটা অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ ও গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টি যে পত্রিকা ছাপিয়েছিল, সেখানে আমরা রিজয়েন্ডার দিয়েছিলাম। আমাদের প্রাধিকারভুক্ত যে গাড়ি পাই, সেটিই আমরা শপথ নেওয়ার তিন বছর পর পেয়েছি। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে তারা অভিযোগ উপস্থাপন করলেন, আবার আমাদেরকেও অভিযুক্ত করে ফেললেন। এমনকি আমাদের কী করণীয় বা আমাদের কী দন্ড, সেটিও এক অর্থে দিয়ে দিলেন। এটি কতখানি বিবেচনাপ্রসূত বা শিষ্টাচারবর্জিত কিনা, সেটি বিবেচনার ভার আপনাদের।’ মানহানির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন কিনা, এমন প্রশ্নে এই কমিশনার কিছু জানাতে রাজি হননি। আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট চেষ্টা করছে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য। নির্বাচন কমিশনের যতটুকু করণীয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’ নির্বাচন কমিশন প্রশ্নের মুখোমুখি হলো কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না। জাতির কাছে আপনাদের মাধ্যমে আমি তুলে ধরেছি যে, সেটি কতখানি বিবেচনাপ্রসূত।’
