মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাপিয়া ও তার স্বামী আরও তিন দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বিকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। তাদের কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুদকে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। গতকাল রিমান্ডে প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পাপিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হয়েছে। অনুসন্ধানে ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকা আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। এ কারণে দুদক মামলা করেছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন। দুদক সচিব বলেন, দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনের রিমান্ড চেয়েছেন। আদালত সেই রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৪ আগস্ট দুপুরে পাপিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শাহীন আরা মমতাজ।

মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের মধ্যে আছে বিলাসবহুল হোটেল ওয়েস্টিনে বিল হিসাবে জমা দেওয়া সাড়ে ৩ কোটি টাকা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা ৬০ লাখ টাকা ও নরসিংদীর একটি বাড়ি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ২০ জুলাই পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনকে কাশিমপুর জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও জাল টাকার ব্যবসা এবং অন্যান্য উপায়ে কোটি কোটি টাকা আয় করে বিদেশে পাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এর পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে জাল নোটের একটি এবং অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে। এরপর দুদকও পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে।

সর্বশেষ খবর