এবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সুশান্ত কুমার দাস (৩২) নামে এক গেটকিপার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ট্রাকচালক সাইদুল ইসলাম (৩৪)।
নিহত গেটকিপার সুশান্ত কুমার দাস পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ট্রাকচালক সাইদুল ইসলাম নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার কফিলউদ্দিন মন্ডলের ছেলে। সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফুলবাড়ী পৌর শহরের ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর সড়কের রেলগুমটি নামকস্থানে রেল ক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর প্রায় ৫ ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। গতকাল সকাল ৭টার দিকে নিহত গেটকিপার সুশান্তের লাশ দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের নিচ থেকে উদ্ধার করে পার্বতীপুর জিআরপি থানা পুলিশ। ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইসরাফিল সরকার জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৪ মিনিটে বিরামপুর থেকে ছেড়ে আসা ২৩ আপ রকেট মেইল ফুলবাড়ী স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। কিন্তু এর ১ মিনিট পর ১টা ৫ মিনিটে স্টেশনের অনুমতি না নিয়ে এমজিবিসি নামক মালবাহী ট্রেনটি স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে প্রবেশের চেষ্টা করে। ট্রেনটি পার্বতীপুর থেকে মাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। স্টেশন থেকে ৫০০ গজ উত্তর দিকে ফুলবাড়ী রেলঘুমটি নামকস্থানে ঠাকুরগাঁও থেকে বগুড়াগামী (ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৯৭১৩) ধান বোঝাই ট্রাকটি ওই রেল ক্রসিং পার হতে গেলে ট্রেনটি ট্রাকটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় প্রচণ্ড কুয়াশা ছিল। এতে ট্রাকটি ছিটকে রাস্তার সাইডে গিয়ে পড়ে। এ সময় ট্রাকচালক সাইদুল ইসলাম সামান্য আহত হন। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ক্রেনযোগে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি সরানোর সময় ট্রাকের নিচে গেটকিপার সুশান্ত কুমার দাসের লাশ পাওয়া যায়। দুর্ঘটনার পর থেকে ৫ ঘণ্টা ওই রেল লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ২৩ আপ রকেট মেইল নামক ট্রেনটি ভোর ৬টা ১০ মিনিটে ২ নম্বর লাইন দিয়ে ছেড়ে যায়। সকাল ৮টায় মালবাহী ট্রেনটি লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তিনি আরও জানান, যেহেতু এমজিবিসি মালবাহী ট্রেনটির স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি ছিল না, তাই গেটকিপার রেলগেটের সিগন্যালটি নামাননি। সেই সময় ওই রেলগেট দিয়ে কোনো ট্রেন যাওয়ার কথা ছিল না। ট্রেন চালকের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। যদি এমজিবিসি ট্রেনটি স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে প্রবেশ করত তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত বলে তিনি জানান।
