শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব

------ তোফায়েল আহমেদ

২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভের সুবর্ণজয়ন্তী। ২০২৪ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব। ইতিমধ্যে সব ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনটি লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করে গেছেন। তিনি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ                 দেখতে চেয়েছিলেন। সে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তাঁর আদর্শ বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের বছরে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সামর্থ্য বর্তমান সরকারের রয়েছে। আমরা আর কখনো কারও কাছে মাথা নত করে চলব না। বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলব। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। যখন বিধ্বংস একটি দেশ, ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙা করতে শুরু করলেন তখন তাঁকে সপরিবার হত্যা করা হয়। জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ পেছনে হাঁটতে থাকে। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতে আমরা দলীয় পতাকা তুলে দিই। ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তাঁকে সভানেত্রী নির্বাচিত করি। অনেক বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে তিনি আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এ উল্টরণ- যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে; যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।

‘উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা ছাড়া সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কিনা জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় স্রোতের বিপরীতেই নৌকা বেয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নে যখন বিশ্বের রোল মডেল, মহামারী করোনাকালেও দেশের অর্থনীতির সূচক ও জীবন-জীবিকা সচল রয়েছে, তখন একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে। তারা দেশের এগিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারে না। কারণ তারা পাকিস্তানের পরাজিত শক্তির দোসর। সে কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলে তাদের ভালো লাগে না। তিনি বলেন, আমরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশের মানুষ হলেও এ মাটিতে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব ধর্মাবলম্বীর বাস। হিন্দু-মুসলিম সবাই এক হয়ে রক্ত ঢেলে দিয়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছি। জাগো জাগো বাঙালি জাগো স্লোগান দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। তখন কোনো জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ ছিল না। একসঙ্গে মিলেমিশে দেশ স্বাধীন করেছি। সেই স্বাধীন দেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের যার যার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকবে। কোনো অপশক্তিকে আমরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেব না। কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না ইনশা আল্লাহ। এটাই হবে নতুন বছরের প্রত্যাশা।

সর্বশেষ খবর