বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

উপজেলা চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে ইউএনও কীভাবে সভাপতি : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ থাকার পরেও উপজেলার নির্বাহী ক্ষমতা ইউএনওর কাছে থাকা কেন সংবিধানের ৫৯ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান আজিম দোলন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী শুনানি করেন। পরে রাসেল চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আদালতে উপজেলা চেয়ারম্যানদের রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছে।

রুলে উপজেলাধীন ১৭টি বিভাগের অধিকাংশ কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করার পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের অধীনে ১৭টি বিভাগের প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা চেয়ারম্যানের অনুমোদনবিহীন সম্পাদন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ ও ২০১১ (সংশোধীত) অনুযায়ী হস্তান্তরিত বিভাগসমূহের অনুমোদন ও জবাবদিহিবিহীন কার্যসম্পাদন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তাও জানতে চেয়েছে আদালত। মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। উপজেলা পরিষদকে কার্যকর ও গতিশীল করতে এবং পরিষদের ওপর মাঠ প্রশাসনের বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) একক কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জ করে সারা দেশের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষে গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে উচ্চ আদালতে এই রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে। রিটে আবেদনকারী হিসেবে রয়েছেন, দুমকী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার, মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উপজেলাকে কার্যকর করাসহ বিভিন্ন দাবিতে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন গত ২ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনও করেছিল।

সর্বশেষ খবর