পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, দেশ অর্থনীতিসহ সব দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এ অগ্রযাত্রায় আমাদের সব ক্ষেত্রেই শুদ্ধতা দরকার। তাই আমরা নিজেদের ঘরের ভিতর থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে চাই। আমরা চেষ্টা করছি আগে নিজেদের ঘর শুদ্ধ করতে, দুর্নীতিমুক্ত করতে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গতকাল দুপুর ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ক্র্যাব-এর সভাপতি আবুল খায়ের এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু। আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যরা যদি পুলিশের বাইরে গিয়ে দায়িত্বের ঊর্ধ্বে থেকে কোনো অপকর্ম করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের মনোভাব অত্যন্ত কঠোর। বাংলাদেশ পুলিশের লক্ষ্য হচ্ছে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা ব্যত্যয়ে শূন্য সহিষ্ণুতা।

গতকালও একটি প্রতিবেদন দেখেছি কিন্তু তথ্যগুলো সঠিক ছিল না। সমস্যা হলো এ আপনি যখন একটি জিনিস ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে দেখে ফেলেন, তখন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ দেখেন। বাংলাদেশের বাইরেও প্রচুর মানুষ দেখেন। যখন আপনি লিখেন তখন কোটি কোটি মানুষ তা পড়েন। বিচারের আগে বিচার করবেন না। অনেক সময় আমরা দেখি যে, বিচারের আগেই বিচার শেষ। আপনি (সাংবাদিকরা) ওপেনিয়ন বিল্ডার। ওপেনিয়ন বিল্ড করা অনেক কঠিন কাজ। সবাই তা করতে পারেন না। সাংবাদিকরা ওপেনিয়ন বিল্ড করেন। যেহেতু আপনারা ওপেনিয়ন বিল্ডার, মুহূর্তের মধ্যে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করতে পারেন। সেজন্য আপনাদের কলমের যে শক্তি, সে শক্তি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন থাকবেন এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা কঠোরভাবে কাজ করছি। পুলিশের মধ্যে যদি কোনো মাদকসেবী থাকে তাহলে তাকে বাহিনী থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করছি। এর মধ্যে পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। আমরা আমাদের ঘর পরিচ্ছন্ন করতে চাই। এ ছাড়া কেউ মাদক সেবন করেন না কিন্তু মাদকের সঙ্গে জড়িত। এমন পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদেরও চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রেও আমরা শূন্য সহিষ্ণুতা বাস্তবায়ন করতে চাই।