সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
সরকারি দলের পাল্টাপাল্টি

বক্তব্য আগেরটাই নতুন করে বলতে চাই না : খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বক্তব্য আগেরটাই নতুন করে বলতে চাই না : খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে অনড় রয়েছেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি যা বলার গতকাল (শনিবার) বলেছি। আমার বক্তব্য আগের টাই। নতুন করে বক্তব্য দিতে চাই না। এ নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।

গত শনিবার যা বলেছিলেন সাঈদ খোকন : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ওই সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের পুনর্বাসনের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। শনিবার হাই কোর্ট এলাকায় কদম ফোয়ারার সামনে এ মানববন্ধন হয়। সাঈদ খোকন অভিযোগ করে বলেন, তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন এবং শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটির গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধরনের কর্মকান্ডের কারণে মেয়র সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯-এর দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলব রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন করতে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিন। ফুলবাড়িয়া মার্কেটে সিটি করপোরেশন যে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে, আমি আগেও বলেছি এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। মহামান্য আদালতের নির্দেশে ব্যবসায়ীদের বৈধকরণের আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা করপোরেশনের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আলোচিত মার্কেটগুলোর নকশা সংশোধন, বকেয়া ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ নকশা সংশোধন করে এবং রাজস্ব বিভাগ সাত-আট বছরের বকেয়া ভাড়া আদায় করে ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি দেয়।’

উল্লেখ্য, দক্ষিণ সিটির মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে ৮ ডিসেম্বর থেকে অভিযান চলছে। এ মার্কেটে ৯১১টি নকশাবহির্ভূত দোকান রয়েছে। ফুলবাড়িয়া এলাকায় সুন্দরবন স্কোয়ার সুপার মার্কেটের নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে ১৭ ডিসেম্বর অভিযান শুরু হয়। এ মার্কেটে ৯৫৭টি নকশাবহির্ভূত দোকান রয়েছে। অভিযান শুরুর পর ব্যবসায়ীরা দাবি করে আসছিলেন তারা করপোরেশনকে ভাড়া দিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে ডিএসসিসির বক্তব্য, অস্থায়ী দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে শর্ত ছিল করপোরেশন চাইলে যে কোনো সময় এসব দোকান ভাঙতে পারবে। সে হিসেবে তারা অভিযান চালিয়েছেন। অভিযান শুরুর পর অবৈধ দোকান বৈধ করে দেওয়ার নাম করে সাঈদ খোকন টাকা নিয়েছেন এমন অভিযোগ ওঠে। গতকালের এ মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, সাঈদ খোকন তাদের বৈধভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়েছেন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাঈদ খোকন নিঃস্ব অসহায় বৈধ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর