শিরোনাম
সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আবারও চমক দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবারও চমক দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস

জয়ের পর ট্রফি হাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উল্লাস করছেন চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা -রোহেত রাজীব

না, নতুনদের দেখা মেলেনি। ফেডারেশন কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংসই। মুকুট থাকল তাদেরই ঘরে। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় সাইফ স্পোর্টিংকে ১-০ গোলে পরাজিত করে। দ্বিতীয়ার্ধে একমাত্র গোলটি করেন দলের আর্জেন্টাইন ফুটবলার রাউল অস্কার বেসেরা। টানা দ্বিতীয় বারের মতো আসরে শিরোপা ধরে রাখল ফুটবল কিং বসুন্ধরা কিংস। অথচ এবার নতুন দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল। তা পারল না সাইফ। সমান তালে লড়াই করে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। তবু এ প্রাপ্তি কম নয়। আসরে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলে রানার্সআপ হলো।

কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোন শুরু থেকেই বলে আসছেন তার দল আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।

লক্ষ্য সব ট্রফি জয়। তবে ধাপে ধাপে এগুতে চাই। অস্কারে প্রথম ধাপ পূরণ হলো ফেডারেশন কাপের ট্রফি ধরে রেখে। এখন টার্গেট দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর পেশাদার লিগ। সত্যি বলতে কি ট্রফি যে হাত ছাড়া হচ্ছে না তা বসুন্ধরার পারফরম্যান্সই বলে দিচ্ছিল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। শেখ জামালকে হারিয়ে সেমিতে মুখোমুখি ঢাকা আবাহনীর। ফেডারেশন কাপে সর্বোচ্চ ১১ বার শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে। শক্তিশালী দলও গড়েছে আবাহনী। তাই সেমিফাইনাল নিয়ে কিংস সমর্থকরা টেনশনে ছিল। কিংস যে কিংসই তা প্রমাণ করল দুরন্ত পারফরম্যান্সে। পিছিয়ে থেকেও আবাহনীকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে তপু বর্মণরা। সাইফও যোগ্যতা প্রদর্শন করে নতুন দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে। কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে জিতলেও প্রতিটি ম্যাচে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। গতকাল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে যোগ্য দুদলই মুখোমুখি হয়। আগের দিন কোচ অস্কার বলেছিলেন ফাইনাল হবে চ্যালেঞ্জিং। আসলে তাই হয়েছে। বসুন্ধরা ও সাইফ পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করে ফাইনাল জমিয়ে রাখে। প্রথমার্ধে কিংস বেশি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে কিংসের দেখা মেলে কিং রূপেই। তিন বিদেশি ফার্নান্দেজ, রবিনহো ও রাউলের পরিকল্পিত খেলা। সে সঙ্গে মতিন, বিশ্বনাথ ও উঁচুতে এসে তপু আক্রমণে গেলে সাইফের রক্ষণভাগ ভেঙে পড়ে। কিংসকে অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিক্ষণ। দ্বিতীয়ার্ধে ৭ মিনিটেই গ্যালারি লাল পতাকার উৎসবে মেতে ওঠে। রবিনহোর কাছ থেকে বল পেয়ে পোস্টের বেশ বাইরে থেকে শট নেন রাউল। আর এতেই গোল। গোল পেয়ে কিংস রক্ষণভাগে মনোযোগী হয়ে পড়ে। সমতা আনতে সাইফের আক্রমণ। মনে হচ্ছিল যে কোনো সময়ে তারা গোল পেয়ে যাবে। কিন্তু গোলরক্ষক আনিসুর রহমানের দৃঢ়তায় ভেস্তে যায় সাইফের ম্যাচ ফেরার আশা। এক ইকেচুকুর ৩টি নিশ্চিত গোল দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেন আশির দশকের গোলরক্ষক মহসিনের সঙ্গে তুলনা করা জিকো। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠে কিংস। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তুলে দেন চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। পেশাদার লিগে বসুন্ধরার আগমন মাত্র দুই বছরের। অথচ এরই মধ্যে তারা নারী লিগসহ ছয় ট্রফি জিতে রেকর্ড গড়ল কিংস। শিরোপা যেন পিছু ছাড়ছে না কিংসের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর