শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
সরকারি দলে বাগযুদ্ধ চলছেই

প্রশাসনের লোকজন মনে করে তারা সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে : কাদের মির্জা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রশাসনের লোকজন মনে করে তারা সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে : কাদের মির্জা

বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হওয়ার ওপর জোর দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আঁই (আমি) তো কইছিই (বলেছিই) এই নির্বাচনরে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আমরা দিমু না (দেব না)।’ অন্যায়ের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। যে কোনো মূল্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে ছাড়বেন। প্রয়োজনে এজন্য তিনি নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত। আবদুল কাদের মির্জা বলেন, প্রশাসনের লোকজন মনে করে তারাই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে।

তিনি গতকাল দুপুরে বসুরহাট রুপালি চত্বরে ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে পথসভায় বক্তৃতা করছিলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন    এবং উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। কাদের মির্জা বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আপনারা সহযোগিতা করবেন। এখন নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র নানা জায়গা থেকে হচ্ছে। মাইজদী থেকে হচ্ছে, ফেনী থেকে হচ্ছে। যুব মহিলা লীগ নামধারী একজন অকথ্য ভাষায় আমায় গালি দিল। মোবাইল ট্র্যাকার দিয়ে তার নাম-ঠিকানা সব পাওয়া গেছে, কিন্তু আজ তিন দিনেও তার কিছুই হলো না। নোয়াখালী ও ফেনীর দলীয় কয়েকজন নেতাকে ইঙ্গিত করে আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। নির্বাচনে কোনোরকম অনিয়ম হলে ডিসি-এসপি ও নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর বড়ভাই মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে বলেন, এ নির্বাচন সুষ্ঠু-সুন্দর হবে- এটা নিশ্চিত করা তারও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কাজেই সেভাবেই উনার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এ সময় তিনি আবারও জনগণকে প্রশ্ন করে বলেন, আমার বাড়ি চার চারবার আক্রান্ত হয়েছে। আমি কি বিচার পেয়েছি? ফেনী আর কোম্পানীগঞ্জের দু-তিন ব্যক্তি এটা করিয়েছেন, আমি এমপি নিজাম হাজারীর কাছে প্রতিকার চেয়েছি। কোনো প্রতিকার পাইনি। এখন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি সাফ জানিয়ে দিচ্ছি, যে কেন্দ্রেই কেউ ভোট ডাকাতি করবে সঙ্গে সঙ্গে সেই কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হয়ে যাবে। প্রয়োজনে ১০ বার ভোট হবে কিন্তু নির্বাচন কিছুতেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেওয়া হবে না। এ সময় তিনি নিজের প্রসঙ্গ টেনে আকাশের দিকে দুহাত তুলে বলেন, হে খোদা! আমি অনিয়মের ভোটের সঙ্গে যেদিন আমি সম্পৃক্ত হই, তুমি সেদিনই আমার মরণ দিও। এ সময় তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের ইঙ্গিত করে আঞ্চলিক ভাষায় লোকজনকে বলেন, ‘হ্যাতারা (ষড়যন্ত্রীরা) কী কইরব বুইজ্জেননি! যেখানে বিএনপি বেশি সেখানে বিএনপির ঘরে, যেখানে জামায়াত বেশি সেখানে জামায়তের ঘরে, যেখানে আওয়ামী লীগ বেশি সেখানে আওয়ামী লীগের ঘরে আগুন লাগাই দিয়া একটি উত্তেজনা সৃষ্টি করে অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা করা হচ্ছে।’ জেলাপর্যায়ের এক নেতার নামোল্লেখ করে মির্জা বলেন, উনার বাড়িতে উনার ছেলে আর আমাদের এক উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিটিং করে এখানে অস্ত্র এনেছে। প্রশাসনকে জানিয়েছি, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমি বাংলাদেশের অনিয়মের কথা কখনো বলিনি, বলেছি নোয়াখালী-ফেনীর অনিয়মের কথা। আর উন্নয়নের বিষয়ে নতুন করে কি কিছু বলার আছে? এ সময় উপস্থিত সবাই বলেন, ‘না’। এরপর তিনি বলেন, এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আপনাদের প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। প্রতি বছর আমাদের পৌরসভা পায় ৬০ লাখ টাকা আর উন্নয়ন করেছে কোটি কোটি টাকার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর