মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ট্রাম্পকে সরাতে রোডম্যাপ, কংগ্রেসে অভিশংসন প্রস্তাব

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

ইমপিচ বিল পাসের আগে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পকে অপসারণের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এ জন্য গত রবিবার সন্ধ্যায় তিনি সহকর্মী কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি বিতরণ করেন। এতে প্রতিনিধি পরিষদে সর্বসম্মত একটি রেজুলেশন পাসের আহ্বান জানানো হয়েছে। কংগ্রেসে উত্থাপন করা হয়েছে অভিশংসন প্রস্তাব।

উল্লেখ্য, ভাইস প্রেসিডেন্টসহ ক্যাবিনেট মেম্বাররা একযোগে অনাস্থা প্রকাশের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট  ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারেন ওই সংশোধনী বলে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্পিকার পেলোসি সব কংগ্রেসম্যানের নিকট বিতরণ করা পত্রে বলেছেন, সর্বসম্মত রেজুলেশন গ্রহণ করে মাইক পেন্স ও ক্যাবিনেট মেম্বারদের প্রতি আহ্বান জানানো হবে অবিলম্বে ট্রাম্পকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেন্সকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য। মঙ্গলবার (আজ) সকাল পর্যন্ত যদি পেন্স তা না করেন তাহলে দুপুরেই প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচমেন্টের বিল পাস করা হবে। এ বিল এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে এবং গতকাল বিকালেই তা নথিভুক্ত করা হয়। ট্রাম্পকে গুরুতর অপরাধের জন্য দায়ী হিসেবে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং সংবিধান ধূলিসাৎ করার অপরাধ সংঘটিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প- এমন অভিযোগ রয়েছে ইমপিচের বিলে। পত্রে বলা হয়, ‘আমাদের সংবিধানের সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার স্বার্থে যতদ্রুত সম্ভব ইমপিচের বিল পাস করতে হবে। কারণ, এই প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সংবিধান ও গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি। দিন যত যাচ্ছে এই প্রেসিডেন্টের কারণে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানটি তত বিপন্ন হয়ে উঠছে। তাই খুব দ্রুত এ অবস্থার অবসান জরুরি।’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের মধ্যে ইমপিচের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরই তা সিনেটে প্রেরণ করা হবে বিচারের জন্য। কিন্তু ১৯ জানুয়ারির আগে সিনেটের অধিবেশন বসছে না। এ জন্যই সিনেট লিডার বলেছেন, ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন শপথ গ্রহণের পরই তারা ট্রাম্পকে অপসারণের প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে পারবেন। তবে একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প যাতে প্রার্থী হতে না পারেন এবং প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তিনি যাতে হোয়াইট হাউস ত্যাগের পর নিরাপত্তা প্রহরী ও অবসর ভাতা না পান- সেটিও নিশ্চিত করতে চায় উভয় দল। এ জন্য বিলম্বে হলেও সিনেটে বিলটির অনুমোদন তথা ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে সংকল্পবদ্ধ সবাই।

টার্গেট ২০ জানুয়ারি : ক্যাপিটল হিলে সন্ত্রাসে লিপ্তদের গ্রেফতার অভিযান চলছে সর্বত্র। গত রবিবার পর্যন্ত কমপক্ষে ১১২ জনকে চিহ্নিত ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বিচার বিভাগের দক্ষ অ্যাটর্নিরা কাজ করছেন। অন্তত ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগও উঠেছে অনেকের বিরুদ্ধে। ভিডিও ফুটেজ এবং গণমাধ্যমের সংবাদের সূত্র ধরে চলছে গ্রেফতার অভিযান। তবুও থেমে নেই ট্রাম্পের উগ্রপন্থি সমর্থকরা।

 আবারও একজোট হওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে তারা নানা অনলাইন প্ল্যাটফরম ব্যবহার করছেন। তারা বলছেন, ‘হয় ট্রাম্প, নয়তো যুদ্ধ হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর