মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মাদকাসক্তির বিষয়ে পরিবারকেই সচেতন হতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদকাসক্তির বিষয়ে পরিবারকেই সচেতন হতে হবে

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সন্তান জন্ম দিয়েছেন, দায়দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। এটি পরিবারের সামাজিক, নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। সন্তানদের মধ্যে নৈতিকতা, মূল্যবোধের সঞ্চার করার দায়িত্ব পরিবারের, সমাজের। কিশোরদের বিপথগামী হতে দেওয়া যাবে না। কিশোর গ্যাং নামে কোনো দৌরাত্ম্য চলতে পারে না।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘র‌্যাব সেবা সপ্তাহ’- এ দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। র‌্যাব সদর দফতরের শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী ৫০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়তা, বই ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

আইজিপি বলেন, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল জরুরি। ছেলে বা মেয়ে কোথায় যায়, কী করে সেই খোঁজ অভিভাবকদের রাখতে হবে। আমাদের এ ধরনের যে কোনো দৌরাত্ম্য মোকাবিলা করতে হবে। কলাবাগানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে ‘পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম’ বলে অভিহিত করে আইজিপি বলেন, ‘১৮ বছরের নিচে বয়সের সবাই শিশু। মানবাধিকার কর্মী, এনজিওকর্মীরা অনেক হইচই করে অনেক আইন কিন্তু পরিবর্তন সংশোধন করেছেন।’ কলাবাগানে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম। এখানে ধর্ষণ ঘটানো হয়েছে, মৃত্যু ঘটানো হয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী উভয়ই কিন্তু শিশু। অথচ আমরা এই আইনগুলো করেছি। অবশ্যই আমাদের আধুনিকায়ন দরকার, আইজিপি হিসেবে আমি দ্বিমত পোষণ করি না। তবে অত্যাধুনিক আইন করতে গিয়ে আমরা দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা তৈরি করতেছি কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও আগামী প্রজন্মের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, ‘তোমরা ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হবে। তোমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’ করোনাকালে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে র‌্যাবের ভূমিকার প্রশংসা করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।

 তিনি বলেন, সেবা সপ্তাহে র‌্যাব এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে, দরিদ্রদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছে, বৃক্ষরোপণ করেছে। এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তারা জনগণকে সেবা দেওয়ার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। সেবাকে কোনো নির্দিষ্ট দিন, সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে প্রতিটি দিনকে সেবার দিনে পরিণত করতে হবে।

শিশু অপরাধীদের সামলানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে ধরে আইজিপি বলেন, শিশুকে থানায় আনলেই প্রবেশন অফিসার নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু দেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রবেশন অফিসার নেই। তাদের রাখতে হবে শিশু সংশোধনাগারে। দেশে কয়টি আছে শিশু সংশোধনাগার বিচার হবে শিশু আদালতে, কয়টি আছে এই শিশু আদালত?

অনুষ্ঠানে র‌্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র?্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বক্তৃতা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর