শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

করপোরেশনকে ব্যবসা নয় সেবা দিতে হবে

--------- ইকবাল হাবিব

করপোরেশনকে ব্যবসা নয় সেবা দিতে হবে

স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেছেন, নগরের উন্নয়ন করতে হলে সিটি করপোরেশনকে বাণিজ্যিক ভাবনা থেকে সরে আসতে হবে। দোকানপাট বা শপিং মল বানানো নিয়ে ব্যস্ত থাকা যাবে না। এখন এ নিয়ে একজন আরেকজনকে গালি দিচ্ছেন। কে কত ভাগ খাচ্ছেন তা নিয়েও এখন কথা আসছে। এটা সিটি করপোরেশনের কাজ নয়। তাদের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে এসব কথা বলেন এই নগর পরিকল্পনাবিদ। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, রাজধানী থেকে মশা দূর করা, ময়লা সরানোসহ আরও অনেক কাজ সিটি করপোরেশনের আছে। তারা কেন দোকান বানাবেন? এটা তো তাদের কাজ নয়। তারা হাট-বাজার তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা না করে শুধু দোকানপাটেই তাদের মনোযোগ বেশি। সব বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সিটি করপোরেশনকে সরে আসতে হবে। এতেই সিটির উন্নয়নে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র নগরের উন্নয়নে বেশ কিছু সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তারা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কিছু কার্যক্রম করেছেনও। শুরুতেই আমি আশাহত হতে চাই না। বলা হয়, শেষ হলো না শুরুতেই খেলা। আমি এখনো আশাবাদী। কিন্তু আমি মনে করি, এই আশাবাদী হওয়ার পাশাপাশি সরকারেরও এ বিষয়ে বিশেষ বিনিয়োগ করতে হবে। আমরা যদি ওয়াসার দিকে তাকাই, শুধু ড্রেন-খালের দায়িত্ব বা লোকবল সিটি করপোরেশনকে দিলেই হবে না। এ ক্ষেত্রে তাদের পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও খাল উদ্ধারের প্রকল্পের জন্য অর্থ জোগান দিতে হবে। যদি সেসব প্রকল্প তারা নেন, তাহলে জরুরি ভিত্তিতে অর্থছাড় দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, জনগণকে সচেতন ও অবহিত করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। এই দুইটা কাজ যদি না করা যায়, তাহলে এই ড্রেনেজটা সিটি করপোরেশন ঘাড়ে নিয়েও কিছুই করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে যে ধরনের কারিগরি দক্ষ লোকের প্রয়োজন, এতে মেয়র আনিসুল হকের সময় থেকেই চরম সংকট ছিল। অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ৪৫ থেকে ৫০ ভাগ লোক আছে। আরও সমসংখ্যক কারিগরি দক্ষ লোক জরুরি। এটা সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ দুই মেয়রকেও মনে রাখতে হবে, তারা জেনে-বুঝেই হোক, আর না বুঝেই হোক, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য উপযুক্ত লোকবল যদি না থাকে, তাহলে এই জটিল সমীকরণ মেলানো যাবে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি মনে করি, সিটি করপোরেশনকে ডিজিটাল ট্যাক্স নেট বাড়াতে হবে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় ট্যাক্সের আওতা আরও বাড়াতে হবে। আগে এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের চৌর্যবৃত্তি ছিল। আগে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে যেত ট্যাক্সের ভাগ। এটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নের সুযোগ বাড়বে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর