বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের পাতি নেতারাও আমেরিকায় বাড়ি-গাড়ি করেছেন

----- কাদের মির্জা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

বসুরহাট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন আওয়ামী লীগের পাতি নেতারা পর্যন্ত আমেরিকায় গিয়ে বাড়ি-গাড়ি কিনছেন। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকরা বিদেশে টাকা পাচার করছেন। নেত্রী শেখ হাসিনা এ চোরদের কত পাহারা দেবেন?

কাদের মির্জা সকালে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত কর্মিসভায় ও এক লাইভ ভিডিওতে আরও বলেন, বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেন্দ্রে যাবেন দলে দলে, ভোট দেবেন। বাধা দিলে, যেখানে বাধা সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলব। লাঠিসোঁটা তৈরি করে রাখুন অস্ত্রের দরকার নেই। পায়ের নিচের অংশে পিটাবেন। কোনো খারাপ লোককেও মারবার অধিকার আপনাকে দেওয়া হয়নি।’ এ সময় তিনি স্লোগান দেন- ‘বাঁশের লাঠি তৈরি করো ভোট চোর খতম কর। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমরাও প্রস্তুত।’ সাবধান থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাদের মির্জা বলেন, ‘আপনারা ঠিক থাকলে সুষ্ঠু ভোট হবে। আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলছি, আমি যদি নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিরোধিতা করি ভোটের দিন আল্লাহ যেন আমাকে দুনিয়া থেকে নিয়ে যান।’ আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এখানে আজ ষড়যন্ত্র চলছে, অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে, গতকাল সিরাজপুরে এক ঘরে আগুন দিয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। গত কয়েক দিন বলছি- ঘরে আগুন লাগাবে, একজনকে মেরে আরেকজনকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র করবে।’ তিনি নির্বাচন কমিশন এবং জেলা প্রশাসকের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি ১৬ তারিখের নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো মায়ের বুক খালি হয়, কারও ঘরে যদি আগুন জ্বলে, কেউ যদি রক্তাক্ত হয় তার দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে আপনাদের।’ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেনকে ‘আহাম্মক হোসেন’ আখ্যা দিয়ে কাদের মির্জা বলেন- ইনি বলেন, আমি ওবায়দুল কাদেরের ভাই বলেই জোর গলায় কথা বলি। নইলে নাকি পারতাম না। কথাটার মানে কী? অন্যরা কথা বললেই গলা টিপে ধরবেন, জেলে দেবেন, মেরে ফেলবেন এটা বোঝা যায় না? কাদের মির্জা তার বিরুদ্ধবাদীদের উদ্দেশে বলেন, আমাকে হারাতে পারবে না, কিন্তু আমার ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কাজ করবে। আমার কাউন্সিলরদের হারানোর জন্য জেলা বিএনপির সাবেক নেতা হারুন টাকা দিয়েছে। আজকে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে খবর নিয়েছি, ওই টাকা তারা আপনাদের ১ হাজার, ২ হাজার করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ভোট জায়গা মতো দেবেন। পছন্দের প্রার্থীকে দেবেন।

সর্বশেষ খবর