শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ঝিনাইদহে কাউন্সিলর প্রার্থীর লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৌরসভা নির্বাচনে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই খুনের মাত্র ৫ ঘণ্টা পর প্রতিপক্ষ প্রার্থী আলমগীর খান ওরফে বাবুর লাশ কুমার নদ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার দেবতলা-বারইপাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আলমগীর খান শৈলকুপা পৌরসভা এলাকার কবিরপুর গ্রামের জালাল আহম্মেদ খানের ছেলে। তিনি আসন্ন শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। তার প্রতীক ছিল পাঞ্জাবি। নির্বাচন আগামীকাল হওয়ার কথা ছিল। এ অবস্থায় নির্বাচনী পরিবেশ সংঘাতময়      হয়ে উঠেছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কীভাবে তিনি মারা গেছেন নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারেননি। এদিকে দুজন মারা যাওয়ার ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শৈলকুপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (পুরুষ) কাউন্সিলর পদের ভোট স্থাগিত ঘোষণা করেছে। তবে আলমগীর খান বাবুর স্বজনদের দাবি, পুলিশের তাড়া খেয়ে নদী পার হতে গিয়ে ডুবে মারা গেছেন তিনি। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও এবারের নির্বাচনে প্রার্থী শওকত আলীর ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টুকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী বাবু খানের সমর্থকরা।

এরপর উপজেলা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আলমগীর খান বাবুর মৃত্যুর সংবাদে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। তবে কাউন্সিলর প্রার্থী বাবুর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয় পুলিশ। স্থানীয় লোকজন বলছেন, অন্য প্রার্থীর ভাইয়ের মৃত্যুর পর গ্রেফতার হতে পারেন এমন আতঙ্কে নদী পার হয়ে অন্য এলাকায় যাওয়ার চেষ্টার সময় ঠা াপানিতে ডুবে মারা যান তিনি। নদীতে কচুরিপানার ভিতর তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এ কাউন্সিলর প্রার্থীর তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। দুটি মৃত্যু ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি। তাই গ্রেফতারও নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে প্রার্থীসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় উভয় পরিবারের স্বজনরা হতাশায় রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর