সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের (চার্জ গঠন) মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়েছে। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর তারিখ ধার্য করা হয়েছে ২৪ জানুয়ারি। এ ছাড়া মামলার তিন আসামি অব্যাহতি ও দুই আসামি জামিনের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেয়।
গতকাল বেলা ১১টায় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আলোচিত এ মামলার চার্জ গঠন হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক আসামিদের অব্যাহতি ও জামিনের আবেদন খারিজ করেন।
এর আগে কড়া নিরাপত্তায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার আট আসামিকে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আদালতে অর্জুন লস্কর ও মাহবুবুর রহমান রনির জামিন এবং সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি ও রবিউল ইসলামের অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি রাশিদা সাঈদা খানম ও বাদী পক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান। এদিকে পুলিশের প্রদান করা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এ চার্জশিটে আগেই অনাপত্তি জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী। সাক্ষীদের জেরা করে ন্যায়বিচারের আশা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেম আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। এতে সাইফুর রহমানকে প্রধান করে ছয়জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত থাকা এবং অন্য দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। কলেজের গেট থেকে স্বামীসহ তাকে ধরে ছাত্রাবাসে এনে স্বামীকে বেঁধে নারীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান (রহ.) থানায় মামলা দায়ের করেন।
