সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদন্ড

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর কাকরাইলে আলোচিত মা-ছেলে জোড়া খুনের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন- নিহত গৃহিণী শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম, আবদুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও শারমিনের ভাই আল আমিন ওরফে জনি। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার বিচারকালে অভিযোগপত্রের ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। রায় ঘোষণার আগে তিন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বাদী আশরাফ আলী এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আদালত রায়ে বলেছে, ছেলে আর স্ত্রী খুনের প্রধান পরিকল্পনাকারী আবদুল করিম। আসামি করিমের পরিকল্পনায় পরস্পর  যোগসাজশে মা-ছেলেকে খুন করা হয়। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের রাজমণি  প্রেক্ষাগৃহের পশ্চিম দিকে রাজমণি কার সেন্টার ও বায়রা ডাটাবেইজের মাঝের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর ভবনের পঞ্চম তলায় শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করা হয়। বাড়িটি আবদুল করিমের। তাদের বড় দুই ছেলে বিদেশে থাকেন। মুন্সীগঞ্জের শামসুন্নাহার (৪৬) ব্যবসায়ী করিমের প্রথম স্ত্রী। পরে ফরিদা নামের এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন করিম। ফরিদার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর তিনি মুক্তাকে বিয়ে করেন। করিম মুদিপণ্যের ব্যবসা ছাড়াও এফডিসিকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন। ওই হত্যাকান্ডের পরদিন শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় করিম, মুক্তা ও জনিসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়। হত্যাকান্ডের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় করিম ও তার তৃতীয় স্ত্রী মুক্তাকে। পরে তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ৩ নভেম্বর রাতে গোপালগঞ্জ থেকে মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ৮ নভেম্বর জনি আদালতে ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি  দেন। পরে মুক্তাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক মো. আলী হোসেন তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর