বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্রেফ আওয়ামী লীগের ‘নির্বাচনী পোস্টবক্স’ হিসেবে কাজ করছে। তাদের কাজ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে পাঠানো তালিকা প্রকাশ করা। এ খেলার মাস্টারমাইন্ড সরকার, আর খেলোয়াড় হিসেবে আছে পুলিশ প্রশাসন। নির্লজ্জ রেফারি নির্বাচন কমিশন এখানে সরকারের হাতের পুতুল।

গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী আহমেদ বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় আগের মতোই ব্যাপক সহিংসতা, রক্তপাত ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন করেছে ক্ষমতাসীনরা। সর্বত্র চর দখলের মতো কেন্দ্র দখল করে, ভোট কারসাজির ডিজিটাল মেশিন ইভিএম দিয়ে প্রকাশ্যে কারচুপি করা হয়েছে। জনগণ জানে, আওয়ামী লীগের আমলে জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয় না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নবনির্বাচিত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিভিন্ন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পূর্বনির্ধারিত এসব একতরফা নির্বাচনকে একটু রমরমা করতেই এবার দ্বিতীয় ধাপে ‘মডেল’ ছিলেন আবদুল কাদের মির্জা।

রিজভী বলেন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির নবনির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে যখন সিরাজগঞ্জ উত্তাল, তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরাসরি খুনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেছেন, ‘কাউন্সিলর হত্যা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।’ অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা কতটা নৃশংস হতে পারে এটা তার প্রমাণ।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামা ওবায়েদ, শিরিন সুলতানা, আবদুস সালাম আজাদ,  আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।